অন্ধকার রাত! সাইরেনের আতঙ্ক... ৫৪ বছর আগের ভারত-পাক যুদ্ধের দিনগুলোই ফিরছে? কী বলছে ইতিহাস
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
India-Pakistan Mock Drill: অভিনব উপায়ে সতর্কতা জারি রাজ্যগুলিতে—পহেলগামে ভয়ঙ্কর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কী হয়েছিল ৫৪ বছর আগে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে? ফিরবে কি সেই দিন?
advertisement
1/13

৫৪ বছর আগে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন দেশজুড়ে কেমন ছিল পরিবেশ? কখন বাজত সাইরেন? মানুষ কী ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করত? এখনকার প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। এখন মক ড্রিলের আবহে ফিরে দেখা যাক যুদ্ধের স্মৃতি। (Representational Image: AI)
advertisement
2/13
আজকের প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানেই না—১৯৭১ সালের যুদ্ধে কীভাবে গোটা দেশ সতর্ক হয়ে উঠেছিল। অনেকেই তখন শিশু ছিলেন, আজ বয়স হয়েছে। আবার অনেকেই তখন জন্মাননি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ইমেজ ছিল 'দুর্গা'র মতো—তাঁর নেতৃত্বকে মনে করা হত দৃঢ় ও সঠিক সিদ্ধান্তে ভরপুর। (Image: shutter stock)
advertisement
3/13
যুদ্ধকালীন সময়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই শহরজুড়ে নেমে আসত ব্ল্যাকআউট। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, অমৃতসর—বড় শহরগুলোতে রাতভর আলো নিভিয়ে রাখা হত। জানালায় লাগানো হত কালো পর্দা, স্ট্রিট লাইটও বন্ধ থাকত। উদ্দেশ্য একটাই—শত্রু দেশের বিমান যেন শহরের অবস্থান বুঝতে না পারে। (Representational Image: AI)
advertisement
4/13
প্রতিটি শহরে বসানো ছিল এয়ার রেইড সাইরেন। আক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেই বাজত এই বিকট শব্দের সাইরেন। মানুষ সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় নিত বাঙ্কারে বা নিরাপদ জায়গায়। সীমান্তবর্তী অঞ্চল—যেমন অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর—এ ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। (Representational Image: AI)
advertisement
5/13
১৯৭১ সালে টেলিভিশন সাধারণ মানুষের ঘরে ছিল না। খবর জানার একমাত্র মাধ্যম ছিল অল ইন্ডিয়া রেডিও (AIR)। প্রতি ঘণ্টায় যুদ্ধসংক্রান্ত বুলেটিন, সরকারি ঘোষণা ও দেশাত্মবোধক গান শোনা যেত রেডিওতে। গুজব রুখতে বড় শহরগুলোতে চালু হয়েছিল 'Rumour Control Centre'। (Representational Image: AI)
advertisement
6/13
সেনাঘাঁটি, রেলস্টেশন, তেল পরিশোধনাগার, বন্দর ও বড় কারখানাগুলোর নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়ানো হয়। ট্রেন রাতের বেলা হেডলাইট ছাড়াই চলত, সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হত। যাত্রীবাহী বিমান চলত না রাতে। কারখানাগুলোতে ঢেকে দেওয়া হত ছদ্মবেশী কাপড় বা রঙ দিয়ে। (Representational Image: AI)
advertisement
7/13
যুদ্ধের টানাপোড়েন ছিল চোখে পড়ার মতো। সংবাদপত্রের বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল। মানুষ উৎসাহ নিয়ে প্রতিটি খবর পড়তেন। রাস্তায়, পাড়ায় শোনা যেত—‘জয় হিন্দ’, ‘ভারত মাতা কি জয়’-এর স্লোগান। রক্তদান শিবির ও সেনাবাহিনীর পরিবারের জন্য ত্রাণ শিবিরে মানুষ অংশ নিত। (Representational Image: AI)
advertisement
8/13
১৯৭১ সাল ছিল সঙ্কটের সময়। খাদ্য, চিনির মতো জিনিসের রেশন চালু হয়েছিল। পেট্রল, কেরোসিন, খাদ্যশস্য—সবকিছুর ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। বড় শহরে মানুষ রেশন দোকানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকত। মজুতদারি ও কালোবাজারিও ছিল প্রবল। (Representational Image: AI)
advertisement
9/13
আমেরিকা পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারতের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি এসেছিল। তখন দেশ এখনও খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর ছিল না। বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে ভারতে। সরকারের তরফে পেট্রল রেশনিং চালু হয়। বেসরকারি গাড়ির সংখ্যা কমে গিয়ে মানুষ সাইকেল বা হেঁটে চলাফেরা করত। (Representational Image: AI)
advertisement
10/13
লতা মঙ্গেশকর-এর ‘এ মেরে ওয়তন কে লগো’ আবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সিনেমা হলে যেত যুদ্ধ বিষয়ক ছবি। রেডিওতে লাগাতার বুলেটিন চলত। কবি, লেখক, নাট্যকারেরা দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করতেন দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, নাটকের মাধ্যমে। (Representational Image: AI)
advertisement
11/13
কখনও শোনা যেত—‘দিল্লিতে বিমান হামলা’, কখনও 'পারমাণবিক বোমা'র গুজব ছড়াত। তাই রেডিওর প্রতি নির্ভরতা ছিল তুঙ্গে। মানুষ রেডিওর সামনে সারারাত বসে থাকত—যেমন ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে ‘অপারেশন ট্রাইডেন্ট’-এ ভারতীয় নৌবাহিনী যখন করাচি বন্দর আক্রমণ করেছিল, তখন মুম্বইয়ে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় এবং মানুষ রাতভর রেডিওর পাশে বসে থাকে। (Representational Image: AI)
advertisement
12/13
স্কুল-কলেজে সিভিল ডিফেন্স ড্রিল করানো হত। শিশুদের শেখানো হত সাইরেন চেনার পদ্ধতি। অবসরপ্রাপ্ত সেনারা ও NCC ক্যাডেটরা শহরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। রক্তদান ও ত্রাণ সংগ্রহে মানুষ উদারভাবে এগিয়ে আসতেন। (Representational Image: AI)
advertisement
13/13
ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তাঁরা অবশ্যই পহেলগাঁওতে হামলার প্রতিশোধ নেবে। এই প্রসঙ্গে, ৭ মে সারা দেশের ২৪৪টি জেলায় একটি মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম বড় ধরনের মক ড্রিল। ড্রিল চলাকালীন, ব্ল্যাকআউট থাকবে এবং সাইরেন বাজানো হবে, যা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেবে। (Representative Image/AI)