গুলি-বারুদ ছাড়াই 'ধ্বংস' হবে পাকিস্তান! পহেলগাঁওয়ের বদলা নিতে যা প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত...শুনলে চমকাবেন!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Pahalgam Terror Attack: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই হত্যাকাণ্ডের দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। কী ভাবে বদলা নেওয়ার কথা ভাবছে ভারত?
advertisement
1/13

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই হত্যাকাণ্ডের দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। (File Image)
advertisement
2/13
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৭ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত। এই নারকীয় ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই হামলার দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না। (Representative Image: AI)
advertisement
3/13
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এই কাপুরুষোচিত হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তাও বেছে বেছে। ভারতের এই বার্তার পর পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, “ভারত যে কোনও সময় আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে।” (Representative Image: AI)
advertisement
4/13
ভারতীয় সেনার তৎপরতা এই জল্পনাকে আরও জোরদার করে তুলেছে। তবে এবার জানা গিয়েছে, পাকিস্তানকে যেভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আখড়া বানানো হয়েছে, ভারত সেদিকেই আঘাত হানতে চলেছে। গুলি না ছুঁড়েই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা—দুই দিক থেকে আঘাত আসতে চলেছে পাকিস্তানের উপর। (Representative Image: AI)
advertisement
5/13
ভারতের দুই বড় পদক্ষেপ কী? প্রথমত, পাকিস্তানকে ফের FATF-এর 'গ্রে লিস্ট'-এ ঢোকানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) থেকে পাকিস্তানকে যে ৭০০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। (Representative Image: AI)
advertisement
6/13
The Indian Express-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, FATF (যা বিশ্বজুড়ে টেরর ফান্ডিং ও মানি লন্ডারিং পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা) -এর সদস্য দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করছে ভারত, যাতে ফের পাকিস্তানকে ‘গ্রে লিস্ট’-এ ফেরা যায়। পাকিস্তান ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত FATF-এর গ্রে লিস্টে ছিল, যার ফলে তাদের বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থ সংগ্রহে বড় রকম প্রভাব পড়েছিল। (Representative Image: AI)
advertisement
7/13
IMF-এর সাহায্য আটকানোর পরিকল্পনা দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে, ভারত ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া IMF-এর ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ প্রকল্পে আপত্তি জানাতে চলেছে। এই প্রকল্প ৩৭ মাস ধরে চলবে এবং মোট ছয়টি রিভিউ মিটিং হয়, যার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তি মঞ্জুর করা হয়। ভারতের অভিযোগ, এই টাকা সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই মে মাসে IMF-এর বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলতে চলেছে ভারত। (Representative Image: AI)
advertisement
8/13
FATF-এ প্রস্তাব তোলার প্রক্রিয়া কী? FATF-এ কোনও দেশকে গ্রে লিস্টে ঢোকাতে গেলে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব প্রয়োজন হয়, যা সদস্য দেশগুলি দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। FATF-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল মঞ্চ ‘প্লেনারি’ বছরে তিনবার বসে—ফেব্রুয়ারি, জুন ও অক্টোবর মাসে। ভারতকে তাই এই প্রস্তাব রাখার আগে যথেষ্ট আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করতে হবে। (Representative Image: AI)
advertisement
9/13
তবে এটি ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে, কারণ পহেলগাম হামলার পর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান কমিশন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ২৩টি দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংহতি জানিয়েছে। (Representative Image: AI)
advertisement
10/13
ভারত FATF এবং Asia Pacific Group on Money Laundering (APG)-এর সদস্য, যেখানে পাকিস্তান শুধুমাত্র APG-র সদস্য। এই প্রেক্ষিতে ভারতের আছে একটি বড় কূটনৈতিক সুবিধা। FATF-এর রিপোর্টে কী ছিল? (Representative Image: AI)
advertisement
11/13
FATF-এর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদা-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলির সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ভারতের সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। FATF-এর ৪০টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো, আইনি কাঠামো, পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত নির্দেশিকা। (Representative Image: AI)
advertisement
12/13
FATF-এর এই রিপোর্টগুলি সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এতে প্রতিটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়। ২৬/১১-র সময়ও IMF সক্রিয় হয়েছিল! এখনও পর্যন্ত IMF বা ভারতের অর্থ মন্ত্রক এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে ভারত আগেও বলেছে যে FATF-এর চাপে পাকিস্তান ২৬/১১ মুম্বই হামলার কিছু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল। (Representative Image: AI)
advertisement
13/13
ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য—পাকিস্তানকে FATF-এর নজরদারি থেকে মুক্ত থাকতে হলে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের অর্থ জোগান বন্ধে ‘বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং স্থায়ী পদক্ষেপ’ করতে হবে। (Representative Image: AI)