India Flight Accident Report: ৫ বছরে ৬৫টি ইন-ফ্লাইট ইঞ্জিন বন্ধ, ১৭ মাসে ১১টি ‘মে-ডে’ কল! ভারতে বিমান চলাচলের আশঙ্কাজনক রিপোর্ট প্রকাশ্যে...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
India Flight Accident Report: ভারতে গত পাঁচ বছরে ৬৫টি বিমানের ইন-ফ্লাইট ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া এবং ১৭ মাসে ১১টি ‘মে-ডে’ কল দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিসিএ এইসব তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও জ্বালানি সমস্যাই মূলত এসব ঘটনার কারণ, বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/10

ভারতের আকাশে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ভারতে ৬৫টি ইন-ফ্লাইট ইঞ্জিন শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে এবং গত ১৭ মাসে ১১টি ‘মে-ডে’ কল দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য ‘রাইট টু ইনফরমেশন’ (RTI) আইনের আওতায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-র কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে।
advertisement
2/10
এই সংখ্যার মধ্যে ১২ জুন আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট অথবা সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ডাইভার্ট হওয়া ইন্ডিগোর ঘরোয়া ফ্লাইটের তথ্য অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে অন্যান্য সমস্ত ইঞ্জিন শাটডাউনের ঘটনা, টেক-অফের সময় বা আকাশপথে ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া—সবই এতে ধরা হয়েছে।
advertisement
3/10
প্রতি মাসে গড়ে অন্তত একটি ইঞ্জিন খারাপ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিমান সুরক্ষিতভাবে একটিমাত্র সক্রিয় ইঞ্জিনের সাহায্যে অবতরণ করানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানিতে জল মেশা, ফুয়েল ফিল্টার ব্লক হওয়া, টারবাইন ত্রুটি ও ইঞ্জিনে বাইরের বস্তু ঢুকে পড়া এর পেছনে কারণ হতে পারে।
advertisement
4/10
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটসের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন সি এস রণধাওয়া বলেন, “জ্বালানির ফিল্টার ব্লক হওয়া, পানিযুক্ত জ্বালানি, ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহে বাধা এবং বাইরের বস্তু ঢুকে পড়া—এই সমস্যাগুলি ফ্লাইট অপারেশনে বিঘ্ন ঘটায় এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”
advertisement
5/10
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ১১টি মে-ডে কল জারি করা হয়েছে, যার সবগুলোই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ছিল। এর মধ্যে চারটি বিমান হায়দরাবাদে জরুরি অবতরণ করে। তবে গৌহাটি থেকে চেন্নাইগামী এবং পরে বেঙ্গালুরুতে ডাইভার্ট হওয়া ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট এই তালিকায় নেই।
advertisement
6/10
এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি অনিল রাও বলেন, “মে-ডে কল কেবলমাত্র তখনই জারি করা হয় যখন ফ্লাইটে আগুন লাগে, ইঞ্জিন বিকল হয় বা প্রাণঘাতী বিপদের সম্ভাবনা থাকে এবং অবিলম্বে অবতরণ না করলে ফ্লাইট চালানো বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।”
advertisement
7/10
ডিজিসিএ-র ডিরেক্টর অব এয়ার সেফটি এএক্স জোসেফ জানান, ডিজিসিএর দায়িত্ব হলো সিভিল অ্যাভিয়েশনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা, সার্কুলার এবং পাবলিক নোটিশ জারি করা, যাতে বিমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
advertisement
8/10
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মে-ডে কল বা ইন-ফ্লাইট ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া আন্তর্জাতিকভাবে খুব বিরল না হলেও ভারতের অ্যাভিয়েশন সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষ করে যখন ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
9/10
এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের থ্রটল কন্ট্রোল মডিউল (TCM) ২০১৯ সালে বোয়িংয়ের নির্দেশনার পরে গত ছয় বছরে দু’বার বদল করা হয়েছিল। তবে এই থ্রটল কন্ট্রোল মডিউলের সঙ্গে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের কোনও সংযোগ ছিল না বলে জানানো হয়েছে।
advertisement
10/10
সোমবার ডিজিসিএ দেশের সব এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন নিজেদের বোয়িং ৭৮৭ ও ৭৩৭ বিমানে ফুয়েল সুইচ লকিং সিস্টেম পরীক্ষা করে। বর্তমানে ভারতীয় সংস্থাগুলির হাতে ১৫০টির বেশি বোয়িং ৭৩৭ ও ৭৮৭ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আকাসা এয়ার, স্পাইসজেট ও ইন্ডিগো।