Fighter Jet: ২৫০০০ কোটির ডিল, ২০০ ফিফথ্ জেনারেশন ফাইটার জেট, ১ টা রাফালের দামে ১৬ টি ফাইটার প্লেন! কী ঘটাতে চলেছে ভারত? কাঁপবে সব ‘শত্রু’ দেশ
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
India 5th gen fighter jet: চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে কমপক্ষে ৪২ স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, কিন্তু এয়ার ফোর্সের কাছে এই মুহূর্তে মাত্র ২৯ স্কোয়াড্রন রয়েছে।
advertisement
1/13

একদিকে চিন, অন‍্যদিকে পাকিস্তান। সামরিক দিক থেকে দুই শক্তিশালী দেশই ভারতের প্রতিবেশী দেশ। তাই অস্ত্রের ভাঁড়ার শক্ত রাখা ভারতের জন‍্য অত‍্যন্ত জরুরি। অস্ত্রের দিক থেকে বিমানের সংখ‍্যায় এখনও সামান‍্য পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
advertisement
2/13
চীন এবং পাকিস্তানের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে কমপক্ষে ৪২ স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, কিন্তু এয়ার ফোর্সের কাছে এই মুহূর্তে মাত্র ২৯ স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে পাকিস্তানের কাছে ২৫ এবং চীনের কাছে ৬৬ স্কোয়াড্রন রয়েছে।
advertisement
3/13
উভয় শত্রু প্রতিবেশী দেশের বিমান বাহিনীর কাছে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট রয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই বিমানের সংখ্যা কম এবং তার উপরে আমাদের কাছে সবচেয়ে আধুনিক লড়াকু বিমান রয়েছে একমাত্র রাফেল। এটি ৪.৫ প্রজন্মের ফাইটার জেট। সেনাবাহিনীর কাছে এর দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে।
advertisement
4/13
সামরিক বিমানের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে তাই তত্‍পর ভারত সরকার এবং ভারতের সেনাবাহিনী। ভারত সরকার লড়াকু বিমানের এই ঘাটতি পূরণের জন্য একসাথে অনেক স্তরে কাজ করছে। কিন্তু, চ্যালেঞ্জটি অনেক বড়। কারণ বর্তমানে ফাইটার জেট কিনতে হলে ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের জেটই কিনতে হবে। কারণ ভবিষ্যত এটিই।
advertisement
5/13
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের খুব সীমিত বিকল্প রয়েছে। বর্তমানে প্রধানত আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার কাছে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট রয়েছে। চিনের থেকে অস্ত্র কেনেনা ভারত। এমন পরিস্থিতিতে এটি কিনতে ভারতের কাছে মাত্র দুটি বিকল্প রয়েছে আমেরিকা বা রাশিয়া।
advertisement
6/13
অন্যদিকে, আমেরিকান পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট F-35 খুবই ব্যয়বহুল। ভারতের বর্তমান সিস্টেমে এটি ফিটও হয় না। তার উপরে এর ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই কারণে ভারত সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে এটি এই বিমান কিনছে না।
advertisement
7/13
বাকি রইল সুখোই-৫৭। এটি রাশিয়া নির্মিত বিমান। এটি F-35 এর তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু, এটি এখনও যুদ্ধ পরীক্ষিত নয়। ইন্ডিয়ান ফাইটার জেট বিশেষজ্ঞ এর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারত যেমন চ্যালেঞ্জিং যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিমানের সম্পূর্ণ সফল হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।
advertisement
8/13
শুধু তাই নয়, এতে চীনও এক্ষেত্রে একটি বড় ফ্যাক্টর। রাশিয়া এবং চীনের সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং এর আশঙ্কা থাকে যে রাশিয়া সুখোই সম্পর্কে চীনকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দিয়ে দেয়। এতে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর হতে পারে। অর্থাৎ ভারতের কাছে নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি করাই একমাত্র সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প। ভারতের অন্য সামরিক অংশীদার ফ্রান্সের কাছেও ৫ম প্রজন্মের বিমান নেই।
advertisement
9/13
তাই ভারত পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের জন্য AMCA প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। কিন্তু, এতে কমপক্ষে ১০ বছরের সময় লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত দেশীয় উপায় বের করেছে। ভারতের বর্তমান ফাইটার জেটের মেরুদণ্ড সুখোই-৩০ বিমান। এয়ারফোর্সের কাছে এর প্রায় ২৬০ ইউনিট রয়েছে। এটি চতুর্থ প্রজন্মের ফাইটার জেট। এমন পরিস্থিতিতে ভারত এর মধ্যে ২০০টি বিমানে বড় আপগ্রেড করে এগুলোকেই প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট বানাতে চায়।
advertisement
10/13
এই বিষয়ে ২০২৩ সালে ১৯,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে এই অর্থ দিয়ে ৮৪টি ফাইটার জেট আপগ্রেড করা হবে। এই আপগ্রেডে বেশি শক্তিশালী স্যাটার্ন AL-31F সিরিজ ৩ ইঞ্জিন এবং স্বদেশী বীরুপক্ষ AESA রাডার লাগানো হবে। এতে ইঞ্জিনের থ্রাস্ট লেভেল ১২.৫ টন থেকে বেড়ে ১৪.৫ টন হবে। এতে এর গতি সুপারসনিক হবে। ইঞ্জিন পরিবর্তনের ফলে এর সার্ভিস লাইফ ৪০০০ ঘণ্টা হবে।
advertisement
11/13
ইঞ্জিন থ্রাস্ট বাড়ার কারণে এটি লাদাখের মতো দুর্গম যুদ্ধক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর হবে। সরকারের পরিকল্পনা এখন ২০০টি সুখোই বিমানকে এইভাবে আপগ্রেড করার। এতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এটি বেশ সাশ্রয়ী চুক্তি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে কারণ ২০১৬ সালে ভারত ফ্রান্স থেকে যে রাফেল ফাইটার জেট কিনেছিল, বর্তমান সময়ে সেই এক বিমানের দাম প্রায় ২০০০ কোটি টাকা, যেখানে একটি সুখোই আপগ্রেড করতে প্রায় ১২৫ কোটি খরচ হবে।
advertisement
12/13
এই বিমানে ভারতের নিজস্ব বীরুপক্ষ অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার সিস্টেম লাগানো হবে। এটি DRDO দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উন্নত রাডার। এতে গ্যালিয়াম নাইট্রাইড প্রযুক্তি রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাডার করে তোলে। এর বিশেষত্ব হল এটি ২৫০ থেকে ৩০০ কিমি দূরে থাকা শত্রুর ৪০টি টার্গেটের সম্পর্কে একসঙ্গে তথ্য দেয়।(File Photo)
advertisement
13/13
এটি DRDO দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উন্নত রাডার। এতে গ্যালিয়াম নাইট্রাইড প্রযুক্তি রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাডার করে তোলে। এর বিশেষত্ব হল এটি ২৫০ থেকে ৩০০ কিমি দূরে থাকা শত্রুর ৪০টি টার্গেটের সম্পর্কে একসঙ্গে তথ্য দেয়। এটি শত্রুর বিমানের ইলেকট্রনিক উপায়ে জ্যাম করতে পারে।