TRENDING:

ভাই-বোনকে অপহরণ, খুন! রাঙ্গা-বিল্লার কুখ্যাত হ*ত্যা*কা*ণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লিকে

Last Updated:
১৯৭৮ সালের ২৬ অগাস্ট, শনিবার সপ্তাহান্তে প্রবল বৃষ্টি মাথায় করে অল ইন্ডিয়া রেডিওয়োর 'যুব বাণী' কেন্দ্রে একটি শো করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ভাই-বোন। এরপরে যা ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।
advertisement
1/18
ভাই-বোনকে অপহরণ, খুন! রাঙ্গা-বিল্লার কুখ্যাত  হ*ত্যা*কা*ণ্ড  নাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লিকে
সালটা ১৯৭৮ অগাস্ট মাসের এমনই এক শনিবার একটা ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দিল্লিকে।
advertisement
2/18
১৯৭৮ সালের ২৬ অগাস্ট, শনিবার সপ্তাহান্তে প্রবল বৃষ্টি মাথায় করে অল ইন্ডিয়া রেডিওয়োর 'যুব বাণী' কেন্দ্রে একটি শো করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ভাই-বোন। এরপরে যা ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।
advertisement
3/18
মডার্ন স্কুলের ছাত্র ১৪ বছরের ভাই সঞ্জয় চোপড়া এবং নয়াদিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল ১৬ বছরের গীতা চোপড়া। তাঁদের এই হত্যাকাণ্ডই পরবর্তীতে বদলে দিয়েছিল দিল্লির অপরাধের ইতিহাস।
advertisement
4/18
গীতা এবং সঞ্জয়কে অপহরণ এবং হত্যার মূল দুই অভিযুক্ত ছিল রাঙ্গা ওরফে কুলজিৎ সিং এবং বিল্লা ওরফে জসবীর সিং। এই ঘটনা কুখ্যাত 'রাঙ্গা-বিল্লা কাণ্ড' নামেও পরিচিত। কী হয়েছিল ১৯৭৮ সালের সেই ২৬ অগাস্ট?
advertisement
5/18
ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মদনমোহন চোপড়ার কন্যা এবং পুত্র ছিল গীতা এবং সঞ্জয়। দিল্লির ধৌল কুয়ান এলাকায় নৌবাহিনীদের সরকারি বাসভবনে পরিবার নিয়েই থাকতেন মদনমোহন।১৯৭৮ সালের সেই অভিশপ্ত ২৬ অগাস্ট রেডিও-তে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল ভাই-বোনের। অনুষ্ঠান শেষে রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের আনতে যাওয়ার কথা ছিল মদনমোহনের।
advertisement
6/18
ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরোয় দুই ভাই-বোন। বাড়ি থেকে বেরোনোর পর রেডিও স্টেশন যাওয়ার পথেই ঘটে যায় অঘটন। গীতা এবং সঞ্জয়কে অপহরণ করে দুই অপরাধী।
advertisement
7/18
কিন্তু, তাঁদের উদ্ধার হয়ত করা যেত, কারণ পথে যাওয়ার সময়েই ভগবান দাস নামে এক ব্যক্তি হলুদ রঙের একটি গাড়ি দেখতে পান। ওই গাড়ির ভিতর তিনি দেখতে পান এক নাবালক এবং নাবালিকার চিৎকার শুনতে পান। তিনি নিজের চিৎকার নেমে গাড়িটির কাছে নিয়ে যান।
advertisement
8/18
গাড়ির কাছাকাছি এসে তিনি দেখতে পান, এক নাবালিকা চালকের চুল ধরে টানছেন। গাড়ির অন্য এক এক আরোহীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে এক নাবালক। ওই দুই নাবালক-নাবালিকাই ছিল সঞ্জয় এবং গীতা। কিন্তু, তাঁদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন ভগবান নামে ওই ব্যক্তি।
advertisement
9/18
তিনি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, প্রথম দিকে কোনও তৎপরতাই দেখায় নি পুলিশ।
advertisement
10/18
ওই দিনই রাত ১০টা ১৫ মিনিটে উইলিংডন হাসপাতালে পৌঁছায় দুই অপরাধী। সেই সময় বিল্লার মাথায় চোট ছিল। চিকিৎসকদের কাছে নাম বদলে তাঁরা জানান, কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশকে হামলার স্থান দেখাতে নিয়ে গেলেও কাউকেই দেখতে পাননি পুলিশকর্মীরা।
advertisement
11/18
এর কিছু পরে দুই অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে তাঁদের থানায় আসতে বলা হলেও তাঁরা আসেনি। তাঁদের দেওয়া ঠিকানা হানা দিয়েও পুলিশ দেখে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে রাঙ্গা-বিল্লা।
advertisement
12/18
একদিকে যখন রাঙ্গা-বিল্লা গা ঢাকা দিয়েছে তখন নিজেদের সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সঞ্জয়-গীতার বাবা মা। শনিবার রাত ৮টায় ছেলেমেয়ের অনুষ্ঠান শুনবেন বলে রেডিও চালিয়েছিলেন গীতার বাবা। কিন্তু, অনুষ্ঠান শুনতে না পেয়ে পৌনে ৯টা নাগাদ স্কুটারে চেপে রেডিও অফিসে যান গীতার বাবা। কিন্তু, সেখানে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। তিনি জানতে পারেন গীতা-সঞ্জয় রেডিও স্টেশনে কখনও আসেই নি।
advertisement
13/18
রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে তাঁদের বাবা, মা, এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নামে পুলিশ। এর ঠিক পরের দিন দিল্লি সংলগ্ন একটি জঙ্গল থেকে গীতা এবং সঞ্জয়ের কোপানো পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহ চিহ্নিতকরণের জন্য খবর দেওয়া হয় সঞ্জয় এবং গীতার বাবা-মাকে। এই ঘটনা সামনে আসতে সেই সময় শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীর বুকে।
advertisement
14/18
এর কয়েক সপ্তাহ পরেই আকস্মিকভাবে গ্রেফতার হয় রাঙ্গা-বিল্লা। ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয় দুই অপরাধী। কালকা মেলে করে পালিয়ে বেরাচ্ছিল দুই অপরাধী। তাঁরা যে কামরায় উঠেছিল তা সেনা জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সেই সময় রাঙ্গা এবং বিল্লাকে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন জওয়ানরা। এই নিয়েই বচসা বাঁধে তাঁদের মধ্যে। একজন তাঁদের চিনতে পেরে যান। গ্রেফতার হয় দুইজন।
advertisement
15/18
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুক্তিপণের জন্যই সঞ্জয় এবং গীতাকে অপহরণ করেছিল রাঙ্গা এবং বিল্লা। কিন্তু, যখন তাঁরা জানতে পারে তাঁদের তেমন অর্থ-সম্পদ নেই তখন তাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুইজন। তদন্তে বিল্লা বয়ানে জানায়, খুনের আগে গীতাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য বয়ান বদল করে তাঁরা। ফরেনসিক তদন্তেও ধর্ষণের তেমন জোরালো কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
advertisement
16/18
বিচারপর্ব শুরু হয়। রাঙ্গা এবং বিল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় দিল্লির আদালত। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ১৯৮১ সালের ২১ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালত।
advertisement
17/18
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাঙ্গা এবং বিল্লার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ পান কয়েকজন সাংবাদিক। ১৯৮২ সালের ৩১ জানুয়ারি ফাঁসি হয় দুই কুখ্যাত অপরাধীর।
advertisement
18/18
এর আগে ১৯৭৮ সালের ১৬ বছরের কমবয়সীদের সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসাবে ঘোষণা করেছিল 'দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার'। ওই দুই পুরস্কার নাম 'সঞ্জয় চোপড়া পুরস্কার' এবং 'গীতা চোপড়া পুরস্কার।'
বাংলা খবর/ছবি/দেশ/
ভাই-বোনকে অপহরণ, খুন! রাঙ্গা-বিল্লার কুখ্যাত হ*ত্যা*কা*ণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লিকে
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল