Earthquake Alert in India: ফের কেঁপে উঠতে পারে জমি, ভারতের এই জায়গাগুলিতে যে কোনও সময় হতে পারে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প, প্রবল আতঙ্কে মানুষ...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Earthquake Alert in India: ভূমিকম্প এখন আর কারও কাছেই অপরিচিত নয়। কিছুদিন আগেই মায়ানমারে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। তারপর নেপাল, দিল্লিতেও কেঁপেছে মাটি। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ভূমিকম্প এবার থাবা বসাবে দক্ষিণ ভারতেও, বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/10

সম্প্রতি উত্তর ভারতজুড়ে ভূমিকম্পের পর এক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে—অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় কি সত্যিই ভূমিকম্প হতে চলেছে? এমন প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে সাধারণ মানুষও ভাবনায় পড়ছেন। কারণ মুলুগু অঞ্চলে সদ্যই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, ফলে সবাই ভাবছে এমন কিছু হয়তো হতেই পারে।
advertisement
2/10
কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, এই দুই রাজ্যে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এইসব দাবিকে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো সংস্থা বা ভূবিজ্ঞানী নিশ্চিত করেননি। বিশেষ করে রামাগুন্ডাম এলাকায় এই আশঙ্কা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
3/10
Earthquake Research and Analysis নামক একটি সংস্থা বলছে, রামাগুন্ডামে ভূগর্ভস্থ খনির পরিমাণ অনেক বেশি, যার ফলে ওই অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তারা জানাচ্ছে, এমন কিছু ঘটলে এর প্রভাব হায়দরাবাদ, ওয়ারাঙ্গাল, এমনকি আমরাবতী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। AI Image News18
advertisement
4/10
সংস্থাটির দাবি, যদি এখানে ভূমিকম্প হয় তবে তা রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার হতে পারে, যা বড় ধরনের কম্পন হিসেবে গণ্য হয়। এমন ক্ষেত্রে ২০০ কিমি বা তারও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত কাঁপন ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক।
advertisement
5/10
যদিও বিজ্ঞান বলছে, এমন কোনো প্রযুক্তি এখনো নেই যার মাধ্যমে ভূমিকম্প আসার আগে থেকেই একেবারে নির্ভুলভাবে বলা যায়। ফলে এমন পূর্বাভাসে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
advertisement
6/10
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) জানিয়েছে, ভূমিকম্প আগে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে সাধারণত ভূকম্পনের ঝুঁকি কম, অর্থাৎ জোন II বা জোন III-তে পড়ে, তাই বড় ধরনের কম্পন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
advertisement
7/10
অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ১৯৬৯ সালে অঙ্গোলে ৫.১ মাত্রার কম্পন হয়েছিল, ১৯৯৮-এ আদিলাবাদে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং হায়দরাবাদেও ১৯৮৪, ১৯৯৯, ২০১৩ সালে হালকা কম্পন হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেও মুলুগুতে ৫.৩ মাত্রার কম্পন হয়েছিল, তবে কোনও ক্ষতি হয়নি।
advertisement
8/10
বিশেষজ্ঞদের মতে, রামাগুন্ডামের খনির কারণে ভূগর্ভে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা ক্ষুদ্রমাত্রার ভূকম্পনের কারণ হতে পারে। তবে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা খুবই কম। CSIR-NGRI-র বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো দরকার নেই।
advertisement
9/10
প্রশাসন বলছে, মানুষ যেন কেবলমাত্র সরকারি উৎস থেকে পাওয়া তথ্যেই বিশ্বাস রাখেন এবং ভুয়া খবরে কান না দেন। প্রয়োজন হলে ভূমিকম্প সহনশীল নির্মাণকাজ করা যেতে পারে।
advertisement
10/10
যদিও কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, তবে সরকার এবং স্বীকৃত সংস্থাগুলো এমন কোনও সতর্কতা এখনও জারি করেনি। তাই জনসাধারণকে ভয় না পেয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।