Cyclone: ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় গতিবেগ হবে ১৫০ কিমি/ঘণ্টায়...! লণ্ডভণ্ড করতে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় 'খুনখার'

বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তুমুল বেগে আছড়ে পরে লণ্ডভণ্ড করবে ঝড়ের তাণ্ডব। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি। আবহাওয়ার বিরাট আপডেট দিলেন আম্বালাল প্যাটেল।

ঘূর্ণিঝড় তেজ নিয়ে সতর্কতার মধ্যেই ফের বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের হুঙ্কার। তুমুল গতিবেগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়ার কী প্রভাব পড়বে বাংলা-ওড়িশা-গুজরাতে?

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ আম্বালাল প্যাটেলের পূর্বাভাস, একটি শক্তিশালী মৌসুমী বায়ু গুজরাতের উপর দিয়ে যাচ্ছে এবং এর জেরে গোটা রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই বৃষ্টির প্রভাব ধীরে ধীরে এগোবে সমুদ্রের দিকে।

এরই মধ্যে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশিষ্ট আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ আম্বালাল প্যাটেল।

তবে, একইসঙ্গে আম্বালাল প্যাটেল আবহাওর আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন, যা বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গুজরাতে এর প্রভাব পড়বে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আবহাওয়াবিদ।

আম্বালাল প্যাটেল বলেন, অক্টোবর মাসে বাংলার ঊর্ধ্ব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে, তবে এবার ৪ থেকে ১২ অক্টোবর আরব সাগরেও একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

এই ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, ৪ থেকে ১৪ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে খুব শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি জোরদার হবে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের কাছাকাছি, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের চারপাশে সিস্টেমটি তৈরি হতে দেখা যাবে। এই সিস্টেমটি ১২ অক্টোবরের দিকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে এটি আরও শক্তিশালী হবে।

গুজরাত ছাড়াও তামিলনাড়ুর কিছু অংশে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বরাবর ওই সময় প্রবল ঝড় বয়ে যাবে।

প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে উপকূল এলাকাগুলিতে। যার জেরে গুজরাতে মেঘলা আবহাওয়া বা তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। আম্বালাল প্যাটেল বলেন, দেশের বর্তমান বৃষ্টির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে এগোচ্ছে। ২০ তারিখের মধ্যে গুজরাতের বানাসকাঁথার থারাদের কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। পাটানের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

আম্বালাল প্যাটেল বলেন, দেশের বর্তমান বৃষ্টির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে এগোচ্ছে। ২০ তারিখের মধ্যে গুজরাতের বানাসকাঁথার থারাদের কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। পাটানের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

উত্তর সৌরাষ্ট্রের কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজকোট, সুরেন্দ্রনগর, হালওয়াদে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জামনগরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পোরবন্দর ছাড়াও কচ্ছের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।

এদিকে আইএমডির লেটেস্ট পূর্বাভাস বলছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে শীঘ্রই নতুন করে নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হতে চলেছে । এর আগে নিম্নচাপ অঞ্চলটি দক্ষিণ রাজস্থান এবং উত্তর গুজরাত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

বঙ্গপোসাগরের উপর আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যার জেরে খুব শীঘ্রই পশ্চিম সেক্টর থেকে আরও সক্রিয় হবে বর্ষা। পূর্ববর্তী নিম্নচাপের অবশিষ্ট ঘূর্ণিঝড়, বর্তমানে দক্ষিণ রাজস্থান এবং কচ্ছ অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দুর্বল হয়ে দক্ষিণ পাকিস্তান অতিক্রম করবে এই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি।