Air India Plane Crash: সামনে চলে এল গুজরাতের ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার 'আসল' কারণ! দুটি ইঞ্জিনেই...ভয়াবহ কথা জানালেন বিশেষজ্ঞ! শুনে শিউরে উঠবেন

বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী? ডিরেক্টরেট অফ সিভিল এভিয়েশন এবং এয়ার ইন্ডিয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করছে। CNN-News18-কে একটি সূত্র জানিয়েছে, ডবল-ইঞ্জিন ফেলিওর হওয়ার কারণেও ঘটতে পারে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা, তথ্য প্রয়োজন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইট AI-171-এর পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে মেডে কল দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, একটি মেডে কল পাইলট তখনই পাঠান, যখন বিমানের উভয় ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা CNN-News18-কে বলেছেন, একটি বিমানের একটি ইঞ্জিন খারাপ হলে, পাইলটরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটতম বিমানবন্দর বা রানওয়েতে বিমানটি অবতরণ করতে পারেন। তবে, এখানে সেই পরিস্থিতি বা সময় যে পাওয়া যায়নি, তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

একজন বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, বিমানের গতি শহর থেকে শহরে এবং বিভিন্ন তাপমাত্রা ও উচ্চতায় পরিবর্তিত হয়।

বিমানটি ছিল একটি Boeing 787-8 Dreamliner, যা একটি মাঝারি আকারের, টুইন-ইঞ্জিন, ওয়াইড-বডি জেট এয়ারলাইনার। এর জ্বালানি দক্ষতা, আরামদায়ক যাত্রী অভিজ্ঞতা এবং বড় উইন্ডো সহ উদ্ভাবনী ডিজাইন বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি আধুনিক বিমানের এভাবে ভেঙে পড়া রীতিমতো অবিশ্বাস্য ঘটনা।

এদিকে, রিপোর্টে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের বোর্ডে থাকা ২৪২ জন সকলেই মারা গিয়েছেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মাটিতেও হতাহতের সংখ্যা যথেষ্টই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি মেঘানি নগরে BJ Medical College UG হোস্টেল মেসে সরাসরি আঘাত করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন ছাত্রের এর ফলে মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ছাত্ররা ওই হস্টেল মেসেই উপস্থিত ছিলেন।

CNN-News18 কে একজন মেডিক্যাল ছাত্র বলেছেন, বিমানটি তার পাশের ভবনে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হর্ষিতের বন্ধু, যিনি দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হর্ষিত উল্লেখ করেছেন, বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়ে, সেই ভবনটিতে রেসিডেন্ট ডাক্তাররা থাকতেন।