World Malaria Day 2025: চাঞ্চল্যকর তথ্য সমীক্ষায়... ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে গুরুতর রোগ, সবকিছুর জন্য মশাকেই দায়ী করছেন পূর্ব ভারতের ৮৭ % জনতা
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ভারতীয় পরিবারগুলিতে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে ঘুমের ঘাটতি বা ঘুমের সমস্যা। সমীক্ষা বলছে যে, প্রাপ্তবয়স্করা পর্যাপ্ত ঘুমের থেকে ২ ঘণ্টা কম ঘুমোচ্ছেন। অন্যদিকে শিশুরা পর্যাপ্ত ঘুমের তুলনায় ৪ ঘণ্টা কম ঘুমোচ্ছে।
advertisement
1/7

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া, জিকা এবং ইয়েলো ফিভারের মতো মশাবাহিত রোগের জন্য দায়ী মশা। এটা তো আমরা সকলেই জানি। আর মশার কামড় এবং ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য আমরা অনেক সময় ইনসেক্ট রিপেলেন্ট ব্যবহার করে থাকি। আর এই মসকুইটো রিপেলেন্ট ক্রিম অথবা স্প্রে-র আকারে আমরা ব্যবহার করি। তবে বলে রাখা ভাল যে, ত্বকের উপর এর সম্ভাব্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড এফেক্টস থাকে।
advertisement
2/7
আর এই সমীক্ষা করেছে মার্কেট রিসার্চ ফার্ম YouGov। আসলে এই সমীক্ষায় মানুষের স্বভাব এবং মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি পরীক্ষা করা হয়েছে। সমগ্র অঞ্চল জুড়েই এই উদ্বেগ রয়েছে। উত্তর, পশ্চিমের ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা এবং দক্ষিণের ৯৬ শতাংশ উত্তরদাতা একই ধরনের মতামত ভাগ করে নিয়েছেন।
advertisement
3/7
সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ভারতীয় পরিবারগুলিতে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে ঘুমের ঘাটতি বা ঘুমের সমস্যা। সমীক্ষা বলছে যে, প্রাপ্তবয়স্করা পর্যাপ্ত ঘুমের থেকে ২ ঘণ্টা কম ঘুমোচ্ছেন। অন্যদিকে শিশুরা পর্যাপ্ত ঘুমের তুলনায় ৪ ঘণ্টা কম ঘুমোচ্ছেন। আর নিয়মিত ভাবে ঘুমের এই ঘাটতি গুরুতর সমস্যা তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল - ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়া, মানসিক চাপ বৃদ্ধি এবং সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি ইত্যাদি। তার পাশাপাশি ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
advertisement
4/7
এদিকে পূর্ব ভারতের দিকে ঘুমের ব্যাঘাতের অন্যতম প্রধান কারণ হল মশার উৎপাত। সমস্ত বয়সের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ অনিদ্রার জন্য মশাকেই দায়ী করেন। শিশুদের মধ্যে এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুতর। অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন যে, মশার কামড় এবং মশার ক্রমাগত গুঞ্জন ঘুমের ব্যাঘাতের অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে। তাতে শিশুদের অসুস্থতা তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তাদের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
advertisement
5/7
Godrej Consumer Products Limited (GCPL)-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার - ইন্ডিয়া অশ্বিন মূর্তি বলেন, “ONE MOSQUITO, COUNTLESS THREATS নামে দেশ জুড়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে Goodknight। তাতে সাধারণ মানুষের আচরণ এবং মশাবাহিত রোগের সঙ্গে যুক্ত বিপদ নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে ভারতে মশা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাটাই আমাদের লক্ষ্য।“
advertisement
6/7
ভারতে ৪০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হন। এর জেরে অফিস, স্কুল-কলেজে অনুপস্থিত থাকতে হয় তাঁদের। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত খরচ তো আছেই। কাজের ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতাও কমে যায়। যার জেরে আর্থিক ক্ষতি হয় ব্যাপক ভাবে। ভারতের অর্থনীতির উৎপাদনশালীতা বজায় রাখতে এবং জিডিপি বাড়াতে সবথেকে প্রয়োজনীয় হল সুস্থ কর্মশক্তি। এটি মোকাবিলা করার একটি বাস্তবসম্মত উপায় হল, মশাবাহিত রোগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার সমাধান করা।”
advertisement
7/7
এই সমীক্ষার প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের মুলুন্দ ফর্টিস হাসপাতালের ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশ্যালিটি ডা. কীর্তি সাবনিস বলেন, “এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, একটি মাত্র মশার মধ্যে প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে মশা। এই সমস্ত রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে মানুষ অন্যান্য অসুস্থতার ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারেন। আর ক্রমাগত এই আশঙ্কা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে তা সুস্থ জীবনযাপন এবং উৎপাদনশীলতার উপরেও গভীর প্রভাব ফেলে। মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা করার জন্য নিজেকেই প্রস্তুত এবং সচেতন হতে হবে।”
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
World Malaria Day 2025: চাঞ্চল্যকর তথ্য সমীক্ষায়... ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে গুরুতর রোগ, সবকিছুর জন্য মশাকেই দায়ী করছেন পূর্ব ভারতের ৮৭ % জনতা