Right Food At Different Ages: বয়সের কথা মাথায় রেখে এই খাবারগুলি খাচ্ছেন তো? নইলে কিন্তু বিপদ! রইল বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

খাওয়ার জন্য বাঁচা। বাঁচার জন্য খাওয়া। মানবজাতের মূলমন্ত্র। কিন্তু সদ্যোজাত যা খাবে, তাই কি খাবে এক যুবক বা যুবতী? নাকি এক কিশোর বা কিশেরীর খাবারের মধ্যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খাবারের পার্থক্য নেই? জীবনের এক একটি ধাপে ভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। তাতেই সুস্থ থাকে শরীর। রইল তালিকা- (ছবি: News18 Creative)

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যানসারের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব স্বাস্থ্যের নিরিখে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তবে এই তালিকায় এমন কিছু খাদ্য রয়েছে, যা প্রতি বয়সের মানুষেরই খাওয়া উচিত। যেমন, যথেষ্ট পরিমাণে ফল এবং সব্জি। (ছবি: News18 Creative)

এছাড়া ওমেগা-৩ খাওয়া উচিত সারা জীবনব্যাপী। গবেষণায় দাবি, ওমেগা-৩ সম্বলিত মাছ এবং মাছের তেল চোখ এবং মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশাপাশি বয়সকালে গাঁটে ব্যথা ও প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। (ছবি: News18 Creative)

শিশুদের বেড়ে ওঠায় ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। আর তাতেই হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মহিলাদের তাই দুধ, ইয়োগার্ট, চিজ বা শাকপাতা বেশি করে খাওয়া উচিত। (ছবি: News18 Creative)

জন্মের থেকে ২ বছর পর্যন্ত আয়রন বেশি খাওয়ানো উচিত। মাতৃদুগ্ধে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন থাকে না। আয়রন সমৃদ্ধ সব্জি, ডিম, ফুল-ফ্যাট দুধ, চিজ, ইয়োগার্টে প্রচুর আয়রন থাকে। (ছবি: News18 Creative)

২ বছর থেকে কৈশোর পর্যন্ত খুব তাড়াতাড়ি হাড়ের বিকাশ ঘটে। আয়রন ও ক্যালসিয়ান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত বেশি করে। সেমি স্কিমড দুধ এবং লো-ফ্যাটের দুগ্ধজাত পণ্য ছাড়াও চিয়া সিড, সর্ষে ও সেসামে সিড বা টোফু খাওয়া ভাল। (ছবি: News18 Creative)

কৈশোর থেকে যৌবনে সুষ্ঠু ডায়েট মেনে চলা জরুরি। ফল, সব্জি, মাংস, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, ডিম ইত্যাদি খাওয়া দরকার ভাল করে। (ছবি: News18 Creative)

২০-এর ঘরে বয়স থাকলে অনেকেই মদ্যপান করেন, কেউ বা অত্যন্ত মানসিক চাপ নিয়ে ফেলেন। কেউ অনেক বেশি ক্যাফেইন খেতে থাকেন। ফলে ভিটামিন বি-১২ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। (ছবি: News18 Creative)

৩০-এর ঘরে পৌঁছলে বেশি করে শস্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত। ওটস, ব্রাউন রাইস, বার্লি, গম ইত্যাদি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে। এতে ওজনও ঠিক থাকে। (ছবি: News18 Creative)

৪০-এর কোঠায় বয়স পৌঁছলে বেশি করে ফলমূল খেতে হবে। কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া রক্ষা করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। তা বেশি রয়েছে রংবেরঙের ফল এবং সব্জিতে। এছাড়া মাঝে মধ্যে উপোস করলেও শরীর ভাল থাকে। (ছবি: News18 Creative)

৫০-এর কোঠা মানেই নানা ধরনের দানা বাঁধতে পারে শরীরে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খেলে ভাল। (ছবি: News18 Creative)

৬০-এর ঘরে বয়স পৌঁছলেই বেশি করে প্রোটিনে মন দিতে হবে। পেশি ভাল থাকবে এতে। (ছবি: News18 Creative)

৭০-এর কোঠায় এসে মানুষের খাদ্যাভাস পাল্টাতে থাকে। খিদে কমে যায়। তাই যখনই খাবার খাবেন, তাতে যেন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাকে। (ছবি: News18 Creative)