Uric Acid Control Tips: খরচ হবে না ১ টাকাও, ওষুধ ছাড়াই কমবে ইউরিক অ্যাসিড! 'এই' ৫ নিয়ম মানলেই শরীর চাঙ্গা...

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় আজকাল সব বয়সের মানুষই শিকার হচ্ছেন। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা আমাদের শরীরের ছোট ছোট জয়েন্ট এবং কিডনিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিডনি ফেইলিউরের মতো অবস্থা দেখা দিতে পারে।

সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে মানুষ ওষুধ খাওয়া শুরু করে, কিন্তু যাদের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে, তারা ওষুধ ছাড়াই সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।

চিকিৎসকদের মতে, মানুষের শারীরিক ক্রিয়াকলাপও ইউরিক অ্যাসিডের স্তরের উপর দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে। তবে শারীরিক কার্যকলাপ এটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

নয়া দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের সিনিয়র ইউরোলজিস্ট ডা. অমরেন্দ্র পাঠকের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এমন এনজাইম ত্রুটিপূর্ণ। এতে ইউরিক এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় কারণ হল লিভার বা কিডনির কার্যকারিতায় ব্যাঘাত। এ কারণে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের হতে পারে না এবং বেড়ে যায়। তৃতীয় কারণ হল অতিরিক্ত মাংস খাওয়া। আমিষে বেশি পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।

এই তিনটি সঠিক কারণ চিহ্নিত করা গেলে ইউরিক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক সময় ওষুধের পরিবর্তে এসব কারণের চিকিৎসা করে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সময়ে সময়ে ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি সঠিক সময়ে সনাক্ত করা যায়।

ইউরিক অ্যাসিড তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে কয়েক মাসের মধ্যেই এই সমস্যা সেরে যায়। অসাবধান হলে ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া দরকার৷

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে আর ওষুধ খেতে হবে না৷ চিকিৎসকের মতে এই ৫ প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে অনেকটাই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন৷

আমিষ খাওয়া বন্ধ করুন এবং উচ্চ প্রোটিন খাবার এড়িয়ে চলুন৷ সময়মতো ঘুমানো-ওঠা এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করুন৷ নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন৷ প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করুন, যাতে ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়। মাঝে মধ্যে রক্ত ​​পরীক্ষা করান এবং অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।