Health Tips: দামি ড্রাই ফ্রুটস ছাড়ুন! ছোট্ট এই জিনিস খান জলে ভিজিয়ে, হার্ট থাকবে ভাল, রোগ গায়েব

শুকনো ফল খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকরও বটে। বাদাম, কাজু, কিশমিশের পাশাপাশি কেউ কেউ আখরোটও খেতে পছন্দ করেন। হার্ট এবং মন সুস্থ রাখতে আখরোট কার্যকরী। আখরোট শরীরে প্রচুর শক্তি সরবরাহ করে, তাই একে শক্তির পাওয়ার হাউসও বলা হয়। আখরোট হল একটি বাদাম, যা কুকি, কেক, স্মুদি, শেক ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

.অনেকে এটি শুকিয়ে খান, কেউ কেউ আবার দুধের সঙ্গে বা শেক, স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পছন্দ করে। অন্য ভাবেও আখরোট খাওয়া যেতে পারেন। সেটি হল জলে ভিজিয়ে আখরোট খাওয়া। জেনে নেওয়া যাক ভেজানো আখরোট কতটা উপকারী।

আখরোটে রয়েছে শক্তি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান।

পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগন বলছেন যে, আখরোট খুব স্বাস্থ্যকর, যা পুরো শরীরকে অনেক উপকার দেয়। এটি খেলে হার্ট থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত উপকার হয়। যদিও আখরোট শুকিয়ে বা জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু আখরোট জলে ভিজিয়ে খেতে পারলে তা হজম করা সহজ হয়। পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়।

শুকনো আখরোট খাওয়ার সময় একটু তেতো লাগে, কিন্তু জলে ভিজিয়ে খাওয়ার পর এগুলোর স্বাদ ভাল হয়।

আখরোট গরম প্রকৃতির। তাই গ্রীষ্মে এগুলি সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। জলে ভিজিয়ে খেলে তেমন ক্ষতি হবে না। সারারাত জলে আখরোট রেখে দিন এবং দিনে যে কোনও সময় খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খাওয়ার দরকার নেই।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আখরোট খেতে পারেন। এতে ফাইবারের উপস্থিতির কারণে এটি খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

আখরোট শুকনো হোক বা জলে ভিজিয়ে খাওয়া হোক না কেন, তা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে উপস্থিত পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ভেজানো বা শুকনো আখরোটও খাওয়াতে পারেন।

হার্ট সুস্থ রাখতে আখরোট খুবই উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্তনালীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আপনি যদি হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে নিরাপদ থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত আখরোট খান।

নিয়মিত আখরোট খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি সারা দিন উদ্যমী অনুভব করতে পারেন।