Liver Cirrhosis: লিভার সিরোসিসে মৃত্যু দক্ষিণী অভিনেতা অভিনয়ের, হঠাৎ ওজন কম হওয়া ছাড়া আর কোন কোন উপসর্গ বুঝিয়ে দেবে আপনার শরীরে এই কঠিন রোগ বাসা বেঁধেছে

দক্ষিণী নায়ক অভিনয় গত কয়েক বছর ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি কোনও চিকিৎসা ছাড়াই তিনি মারা গেছেন।

থুল্লুভাথো ইলামাই ছবির পর, অভিনয় 'জংশন' সহ কয়েকটি ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে, উপযুক্ত চলচ্চিত্রের সুযোগ না পেয়ে, তিনি ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং বিজ্ঞাপনের কাজও করেন।

অভিনেতা কেপিওয়াই বালা, যিনি অভিনয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাঁকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন এবং তাঁকে তাঁর গান্ধি কন্নড় চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি বহির্বিশ্বের কাছে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার খবর সত্ত্বেও, ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

অভিনয়ের মৃত্যু হয়েছে লিভার সিরোসিসে৷ লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণগুলি কী? লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা এবং এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব কিনা সে সম্পর্কে কী জানা গিয়েছে।

এই রোগের কারণ কী? নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস এ, বি, সি, আয়রনের অতিরিক্ত পরিমাণ, পিত্তনালীতে দাগ/অবরোধ/প্রদাহ, অটোইমিউন লিভার ডিজিজ এবং মদ্যপান এই রোগের প্রধান কারণ।

চিকিৎসা কী? উপরের কোন কারণে একজন ব্যক্তির সিরোসিস হয় তা জানার মাধ্যমে, নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং লিভারের ক্ষতি কমতে পারে।

যখন সিরোসিস হয়, তখন অনেকটাই সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে৷ এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। এমনই জানিয়েছেন মনিপাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অনুরাগ শেট্টি৷ তবে, লক্ষণগুলি সনাক্ত করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে, গুরুতর ক্ষতি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কম খিদে পাওয়া, চরম ক্লান্তি, জন্ডিস, পা/গোড়ালি ফোলা, ওজন কমতে থাকা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস।

লিভার সিরোসিসের স্থায়ী নিরাময়ের জন্য, লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে অভিনেতা অভিনব এই ধরণের লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এটি কি প্রতিরোধ করা যেতে পারে? প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সুষম খাদ্য গ্রহণ, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, অ্যালকোহল/মাদকদ্রব্য এড়িয়ে চলা এবং হেপাটাইটিস টিকা দেওয়ার মাধ্যমে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা।