ঠাকুমা দিদিমাদের এই 'টোটকা' দেবে মাত...! ১ 'ওষুধেই' ত্বক হবে আয়নার মতো, 'জুলফে রেশম সা', গরমে 'ট্রাই' করুন শতাব্দী প্রাচীন 'ফর্মুলা'

সুন্দর মুখ আর এক ঢাল কালো চুল, সব মেয়েদেরই আকর্ষণীয় করে তোলে। দাগহীন-ফুটফুটে মুখ যেন মনের আয়না। কিন্তু গাদা গাদা রাসায়নিক ভিত্তিক সৌন্দর্য পণ্যের পিছনে পকেট খালি হলেও সেই সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়।

গরমে ত্বকের যত্ন, ভাতের জল, সামার টিপস, ভাতের জল দিয়ে রূপচর্চা, ফেস, বিউটি, সৌন্দর্য, ডার্ক সার্কেল, ত্বক, পিগমেন্টেশন, শীতকাল, নারকেল তেল, মুখের ঔজ্বল্য, ত্বক, কালো দাগ, মুখের কালো দাগ, চাঁদের মতো উজ্জ্বল ত্বক, ঝলমলে ত্বক, ঘাড়ে কালো ছোপ, কালো দাগের সমস্যা, পিগমেন্টেশনের সমস্যা, কালো দাগ, ত্বক, ত্বকের জেল্লা, গলায় ছোপ, গলায় ঘাড়ে কালো ছোপ, মুখের ঔজ্জল্ল্য, ঘরোয়া টোটকা, ত্বক সুন্দর করতে, সুন্দর মুখ, ট্যান কমাতে কী লাগাবেন, রাতে শোয়ার আগে কী লাগালে সুন্দর হবেন, পিগমেন্টেশন দূর করার ক্রিম চুল পড়া সমস্যা, চুল পড়া, চুল গজানোর জন্য ঘরোয়া টোটকা, চুল কালো, হেয়ার ডাই, চুলের রং, পাকা চুল, সাদা চুল কুচকুচে কালো, হেয়ার ডাই, হার্বাল হেয়ার ডাই, চুল, টাক, পাকা চুল, চুল পাকলে কী করবেন, পাকা চুলের ঘরোয়া সমাধান, সাদা চুল সমস্যা, অকালপক্কতা

কিন্তু যদি হাতের কাছেই মেলে এমন কিছু যা মুহূর্তে ফিরিয়ে দেবে জেল্লা, চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারে মিনিটে, আবার এক পয়সাও খরচ হবে না? এই বসন্তে জেনে নিন বয়স ও রূপ ধরে রাখার সেই চাবিকাঠি।

ভাত খেতে কে না পছন্দ করে, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এর জল ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আমাদের ঠাকুমা-দিদিমারা এর উপকারিতা সম্পর্কে বলতে কখনও ক্লান্ত হননি।

আসলে ভাতের জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং স্টার্চ সমৃদ্ধ, যা ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং চুল মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রাকৃতিক ত্বক বুস্টার:ভাতের জল একটি কার্যকর টোনার হিসেবে কাজ করে, ত্বকের ছিদ্র শক্ত করতে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। ভাতের জলে একটি তুলার প্যাড ভিজিয়ে মুখে লাগালে ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হয় মুহূর্তের মধ্যে। এছাড়াও, এটি রোদে পোড়া, ফোলাভাব এবং লালভাব কমাতে সাহায্য করে।

যাঁদের ডার্ক সার্কেল এবং ফোলা ভাবের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ঠান্ডা করা ভাতের জল একটি চমৎকার সমাধান। ঠান্ডা ভাতের জলে তুলার প্যাড ভিজিয়ে কয়েক মিনিট চোখের নীচে রাখুন এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি অনুভব করুন।

মজবুত এবং চকচকে চুল:ত্বকের যত্নের পাশাপাশি, ভাতের জল একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক কন্ডিশনারও। শ্যাম্পু করার পর, চুল নরম, চকচকে এবং আরও পরিচালনাযোগ্য করার জন্য ভাতের জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে, যার ফলে চুল পড়া এবং চুল ভাঙা কমে। চালের জল দিয়ে হালকা মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে এর উপকারিতা আরও বাড়তে পারে।

ভাতের জল কী ভাবে তৈরি করবেন?বাড়িতে ভাতের জল তৈরি করা সহজ, এটি করার দুটি উপায় রয়েছে:-১. ভেজানোর পদ্ধতি: চাল ভাল করে ধুয়ে কয়েক ঘণ্টা বা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন, তরলটি ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন।

২. ফুটানোর পদ্ধতি: প্রচুর জলে ভাত রান্না করুন, তরলটি ছেঁকে নিন এবং ব্যবহারের আগে ঠান্ডা হতে দিন।

এই দুটি পদ্ধতিই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দ্রবণ দেয় যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকে সহজ পদক্ষেপ:আপনার রূপটানের রুটিনে ভাতের জল যোগ করা স্বাস্থ্যকর। ত্বক এবং চুল ভাল রাখার এটি একটি সহজ উপায়। প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্যের কারণে, এই প্রাচীন প্রতিকারটি বিশ্ব জুড়ে প্রচলিত আর কাজেও দেয় ম্যাজিকের মতো।

দাবিত্যাগ: প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। যদি আপনি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন, তাহলে অবশ্যই তা গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।