Gas & Acidity: ১ মিনিটের মধ্যে পেট থেকে সব গ্যাস বেরিয়ে যাবে! এই পানীয় পেট ফাঁপার মহৌষধ! চুমুকেই মুক্তি!

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলি খুব সাধারণ হয়ে উঠছে। এর মধ্যেও, মানুষ গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যায় বেশি ভুগছে। লোকেরা অভিযোগ করে যে কিছু খাওয়া বা পান করার পরে তাদের পেট ফুলে যেতে শুরু করে। কখনও কখনও সমস্যাটি এতটাই বেড়ে যায় যে ব্যক্তিকে শ্বাস নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এখন, আপনি যদি এই ধরণের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এটি থেকে মুক্তি পাবেন।

বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক ডাক্তার সেলিম জাইদি তার ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে, ডাক্তার গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার একটি সহজ রেসিপি বলেছেন। ডাক্তারের মতে, মাত্র একটি সহজ কৌশল অনুসরণ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গ্যাস বা পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এর জন্য ডাক্তাররা একটি বিশেষ পানীয় তৈরি করে পান করার পরামর্শ দেন। পানীয়টি তৈরি করতে আপনার জিরা, কালো লবণ এবং অর্ধেক লেবুর রস লাগবে।

এক গ্লাস জলে এক চা চামচ জিরা রেখে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এটি ছাঁকনি দিয়ে একটু ঠান্ডা হতে দিন (হালকা গরম রাখুন)। এবার এতে এক চা চামচ লেবুর রস এবং এক চিমটে কালো লবণ দিন। ভাল করে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন।

ডাঃ সেলিম বলেন, যদি হঠাৎ গ্যাস বা অ্যাসিডিটি হয়, তাহলে এই পানীয়টি পান করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আরাম পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি বারবার এই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে দিনে দুবার এই প্রতিকারটি গ্রহণ করুন। একবার বিকেলে এবং তারপর রাতের খাবারের ১৫ মিনিট পর। কয়েক সপ্তাহ ধরে একটানা এটি খেলে দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস, বদহজম এবং পেট ফাঁপা সমস্যাও মূল থেকে নির্মূল করা যেতে পারে।

ডাক্তারের মতে, এই প্রতিকারটি কেবল হজমশক্তি উন্নত করে না বরং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জিরা পেটের গ্যাস কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। কালো লবণ লিভারের পিত্ত রসকে সক্রিয় করে যার কারণে চর্বিযুক্ত খাবারও সহজে হজম হয়। এছাড়াও, লেবুর রস অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে এবং টক ঢেকুর থেকে মুক্তি দেয়।

তবে, যদি আপনি প্রায়ই পেটে ভারী ভাব, জ্বালাপোড়া, ব্যথা বা ঢেকুর তোলা অনুভব করেন এবং যদি এটি সপ্তাহে দুবারের বেশি হয়, তাহলে এটি একটি গুরুতর হজম সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থায়, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।