বাড়ছে ঘরোয়া নিগ্রহ, শ্বশুরবাড়িতে আপনার হক কতদূর, জানেন তো?
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
এর একটা বড় কারণ মেয়েদের অজ্ঞতা। দেখুন আপনার হক কতটা আপনার শ্বশুরবাড়িতে।
advertisement
1/8

২০১৬ সাল। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার রায়দানের সময়ে বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন ও দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানায় যে, বাড়ির বউ পরিবারের অংশ, বাড়ির কাজের লোক নয়। এবং কোনও পরিস্থিতিতেই তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া যাবে না। যদিও এতে বধূ নির্যাতনের ঘটনা কমেনি। এখনও সংবাদ শিরোনাম হয়ে চলেছে মারধর-সহ ঘরোয়া হিংসার নানা ঘটনা। এর একটা বড় কারণ মেয়েদের অজ্ঞতা। দেখুন আপনার হক কতটা আপনার শ্বশুরবাড়িতে।
advertisement
2/8
আপনার প্রথম অধিকারকটিই হল সসম্মানের মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার। গৃহবধূর উপর পরিবারের তরফে কোনও রকম শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের লঙ্ঘন। এছাড়া দুর্ব্যবহার ও ইচ্ছাকৃত মানসিক অত্যাচারও নিগ্রহের সামিল।
advertisement
3/8
বাড়ির আর পাঁচজনের মতোই জীবনযাত্রা প্রাপ্য একজন মহিলার। বিশেষ কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গেলে তাঁকে বঞ্চিত করা চলবে না। বিবাহ বিচ্ছেদ না হতে, স্ত্রী ও তার সন্তানের খাওয়াদাওয়া, থাকার জায়গা, পরিধান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত খরচ বহন করা স্বামীর ‘আইনি’ কর্তব্য।
advertisement
4/8
বিয়েতে প্রাপ্ত উপহার স্ত্রীধন বা ওম্যান অ্যাসেট হিসেবে বিচার্য। হিন্দু সাকশেসন অ্যক্ট অনুযায়ী, এই সম্পত্তিতে আর কারও অধিকার নেই। বল প্রয়োগ করলে বা সঠিক সময়ে ফেরত না দিতে চাইলে তা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট ২০০৫-এর অন্তর্গত অপরাধ।
advertisement
5/8
যতক্ষণ না বিবাহবিচ্ছেদের সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে অন্য কোনও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রাখতে পারেন না কোনও স্বামী।
advertisement
6/8
স্বামীর বাসস্থানে নিখরচায় আজীবন থাকার আইনি অধিকার রয়েছে স্ত্রীর।
advertisement
7/8
হিন্দু সমাজে যা স্ত্রী-ধন, মুসলমান সমাজে তাই মেহের । মেহেরের অধিকার একান্তই যিনি পাচ্ছেন তার। তা সঠিক সময়ে না পেলে, রক্ষণাবেক্ষণ না হলে সেকশন ১২৫ এ মামলা রুজু করতে পারেন মুসলিম বিবাহিতা মহিলা।
advertisement
8/8
শরিয়তি আইন বলে মৃত স্বামীর সম্পত্তির আটভাগের এক ভাগ প্রাপ্য স্ত্রীর যদি তিনি সন্তানের মা হন। সন্তান না থাকলে প্রাপ্য হবে চার ভাগের এক ভাগ।