উপকরণ মাত্র ১ টা বা ২ টো সব্জি, তাহলে কুমড়োর ছক্কার নামে ছয় এল কোথা থেকে, জানুন

নামে কী-ই বা এসে যায়? কবেই বলে গিয়েছেন মহাকবি৷ আমরা কিন্তু খাওয়ার বিষয়ে সে কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি৷ নামের অর্থ না জেনেই খেয়ে নিই কত খাবার৷ যেমন, ছোট থেকে জানি ছুটির সকালে বাঙালি জলখাবারের আদর্শ সাদা লুচির সঙ্গে কুমড়োর ছক্কা৷ কিন্তু উপকরও যেখানে মাত্র দুটো সব্জি, নাম ছক্কা কেন?

শুধু লুচি নয়, পরোটার সঙ্গেও কুমড়োর ছক্কার যুগলবন্দি ফাটাফাটি৷ নিদেনপক্ষে রুটির সঙ্গেও চলে এই তরকারি৷ কবে থেকে বাঙালি ডায়েটে এই পদ এল, তা আজও সঠিকভাবে জানা যায় না৷ কুমড়ো স্থানীয় ফসল, তাই দীর্ঘ দিন ধরেই কুমড়ো খেতে অভ্যস্ত বঙ্গসন্তানরা৷

কিন্তু কুমড়োর পদে আলুর সংযোজন পরবর্তী কালে হয়েছে৷ কারণ আদতে বিদেশি সব্জি আলু বঙ্গে এসেছে বিদেশিদের সঙ্গে৷ আলু, কুমড়োর সঙ্গে ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলার রসায়ন অনেক দিন জয় করেছে বাঙালি রসনা৷

প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী থেকে লীলা মজুমদার-রন্ধন বিশেষজ্ঞ তথা রন্ধন পটিয়সীদের কলমে বার বার উঠে এসেছে ঘরোয়া, আটপৌরে এই পদের কথা৷

কালো জিরে ফোড়নে কুমড়োর ছক্কার স্বাদ জম্পেশ হয়৷ কেউ কেউ হিং, পাঁচফোড়ন বা রাঁধুনি ফোড়নও দেন৷ তবে ফোড়নে শুকনো লঙ্কা এবং পরে চিনি কিন্তু মাস্ট৷

অতি বড় বাঙাল পরিবারের কুমড়োর ছক্কাতেও কিন্তু চিনি পড়ে৷ চিনি ছাড়া কুমড়োর পদ খেতে ভাল লাগে না৷

অনেকে আলু ছাড়াও শুধু কুমড়ো দিয়েও এই পদ করেন৷ কিন্তু নামের মধ্যে ছক্কা শব্দটা এল কেন? মনে করা হয়, লুডো খেলার ছক্কার মতো করে কুমড়ো কাটা হ?. তাই এই নামকরণ৷

তবে এর কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই৷ অবশ্য নামকরণের ইতিহাসে কী-ই বা এসে যায়? স্বাদে মাতোয়ারা হতে পারলেই হল৷