Pope Francis News: খুব 'চেনা' রোগে মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস! কোন রোগ জানেন? কারা আক্রান্ত হন সবচেয়ে বেশি? চমকে যাবেন শুনে

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার ভ্যাটিকানের তরফে এই শোক সংবাদ জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন পোপ। প্রথমে ব্রঙ্কাইটিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তারপর তিনি আক্রান্ত হন ডাবল নিউমোনিয়ায়। মাঝে চিকিৎসায় সাড়াও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

রবিবার খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্মালবলম্বীদের উদ্দেশে ইস্টারের বার্তা দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোমবার, ৮৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর মৃত্যুতে গোটা পৃথিবীর ক্যাথলিক সমাজে শোকের ছায়া। সেই সঙ্গে বারবার আলোচনায় ফিরে আসছে তাঁর অসুখ ডাবল নিউমোনিয়ার কথা। তাই ঝটপট এই অসুখ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ডাবল নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের উভয় দিকে নিউমোনিয়া সংক্রমণ। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে হতে পারে যা ফুসফুসের ছোট বাতাসের থলিতে (অ্যালভিওলি) প্রদাহ এবং তরল জমা করে, যা শ্বাস নিতে অসুবিধা তৈরি করে।

ডাবল নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো, যেমন: কাশি (কফ বা পুঁজ সহ), শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, বুকে ব্যথা, ক্লান্তি।

ডাবল নিউমোনিয়ার কারণগুলিও সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো, যেমন: ব্যাকটেরিয়া (যেমন: স্ট্রেপটোকোকাস নিউমোনিয়া), ভাইরাস (যেমন: ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএসভি), ছত্রাক।

ডাবল নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত সাধারণ নিউমোনিয়ার মতোই, যেমন: অ্যান্টিবায়োটিক (যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়), অ্যান্টিভাইরাল (যদি ভাইরাল সংক্রমণ হয়), অ্যান্টিফাঙ্গাল (যদি ছত্রাকের সংক্রমণ হয়), অক্সিজেন থেরাপি, বিশ্রাম।

কারা বেশি সাবধান হবেন? এই রোগ যে কোনও মানুষের হতে পারে। তবে খুব ছোট বাচ্চা এবং বয়স্কদের ডাবল নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।