Winter Picnic Spot: চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, শীতের দুপুরে রোদ মেখে চলুক দেদার খাওয়া-দাওয়া, বীরভূমের দুর্দান্ত পিকনিক স্পট

আর কিছুদিন পরেই শীতের আবহে ভাসবে বঙ্গবাসী। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা শীত অনুভব করছে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে বীরভূমে।আর ভ্রমণপিপাসু বাঙালি মূলত শহরের কোলাহল ছেড়ে ঘুরতে আসতে পছন্দ করেন কোনও এক নিরিবিলি পরিবেশে।(সৌভিক রায়)

মূলত শীতের মরশুমে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে একান্তে দিন কাটাচ্ছে চান অনেক পর্যটক।আর আজকে আপনাদের দেখাবএমনই এক জায়গা যেখানে জঙ্গলে ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে বহু প্রাচীন শিবমন্দির। সঙ্গেরয়েছে মনোরম পরিবেশে ঘুরে দেখার ব্যবস্থা।জায়গাটিহল বীরভূমের গণপুর এর ঘন জঙ্গল।

বীরভূমের রামপুরাহাট থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গণপুরের জঙ্গল। রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার রাস্তায় মল্লারপুর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গণপুর থেকে বাঁধের রাস্তা হয়ে জঙ্গলের সুন্দর দৃশ্যপটের মধ্য দিয়ে শিবপাহারি মন্দির যাওয়া যায়। এখানেই রয়েছে কালাপাহাড়ের স্মৃতিবাহী শিব। যার নাম শ্রী শ্রী বাবা সিদ্ধনাথ। আপনি কলকাতা অথবা হাওড়া থেকে এলে নিকটবর্তী মল্লারপুর স্টেশন,তারাপীঠ স্টেশন,অথবা রামপুরহাট স্টেশন থেকে এই গণপুর পৌঁছতে পারেন। তবে মল্লারপুর স্টেশন থেকেই এই গণপুর জঙ্গল আপনার খুব কাছে হবে।

তবে এই গণপুর এলে থাকার কোনওজায়গা নেই। তবে মোহাম্মদ বাজার রেঞ্জের মল্লারপুর বিটের গণপুর বনবাংলোয় থাকার ইচ্ছা থাকলে যোগাযোগ করতে হবে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের (সিউড়ি, বীরভূম) সঙ্গে। যোগাযোগের নম্বর : ০৩৪৬২-২৫৫২৬২। রামপুরহাট অথবা সিউড়িতে রাত্রিবাস করেও জায়গাগুলি দেখে নেওয়া যায়।আর তাছাড়াও বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এসে আপনি পুজো দেওয়ার পরে এই গণপুর এর জঙ্গলের আনন্দ নিতে পারবেন।

শোনা যায় আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর পুরানো এই শ্রী শ্রী বাবা সিদ্ধিনাথ এর মন্দির। মন্দিরের ভেতরে গেলে দেখা যাবে বিশাল বড় আকারের একটি শিব লিঙ্গ রয়েছে।প্রত্যেক দিন নিত্যপুজোর পাশাপাশি শিব রাত্রির দিন এবং শ্রাবণ মাসে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। তাহলে নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজতে চাইলে এখান থেকে একবার অবশ্যই ঘুরে যান। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে শীতের ভ্রমণে এই জঙ্গল হবে আপনার ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন।