Piles & Diabetes: পাইলসের জ্বালা উধাও! জব্দ ডায়াবেটিস! লিভার, কিডনির রোগে মহৌষধ এই গাছের প্রতি অংশ! বাড়ির কাছেই পাবেন এই অলৌকিক সঞ্জীবনীকে
- Written by:Bangla Digital Desk
- news18 bangla
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Piles & Diabetes: এই গাছের প্রতিটি অংশই সঞ্জীবনীর মতো। এর পাতা, বাকল, ফল এবং শিকড় সবই উপকারী।
advertisement
1/7

আজ আমরা আপনাকে একটি অলৌকিক গাছের কথা বলতে যাচ্ছি, যা আয়ুর্বেদে অমৃত হিসেবে বিবেচিত। এই গাছটি কেবল আপনার চারপাশের পরিবেশকেই পরিষ্কার করে না, বরং শরীরের অনেক গুরুতর রোগ থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এর পাতা, বাকল, ফল এমনকি এর শাখা-প্রশাখাও ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। আমরা নিম গাছের কথা বলছি - যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে "সঞ্জীবনী" নামে পূজিত হয়।
advertisement
2/7
নিম গাছ নানাভাবে খুবই উপকারী। এর ডালপালা বেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নিম গাছের প্রতিটি অংশই সঞ্জীবনীর মতো। এর পাতা, বাকল, ফল এবং শিকড় সবই উপকারী। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে৷ নিম গাছ বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। মাটিতে পুষ্টিও সরবরাহ করে। ভারতীয় সংস্কৃতিতেও নিম গাছের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং তন্ত্র-মন্ত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। পূর্ববর্তী সময়ে এর পাতা শুকিয়ে ধূমপান করা হত। বিশ্বাস করা হয় যে নেতিবাচক উপাদানগুলি চলে যায়। মশাও ধ্বংস হয়।
advertisement
3/7
নাগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের সাত বছরের অভিজ্ঞতা (মেডিসিনে এমডি এবং পিএইচডি) সহ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং বলেন যে নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরালের মতো অনেক গুণ রয়েছে। এটি ত্বকের সমস্যা, ব্রণ, ফোঁড়া এবং দাদ জাতীয় অনেক রোগের জন্য একটি ঔষধের মতো কাজ করে।
advertisement
4/7
বলা হয় যে নিম পাতা ছাড়াও, নিম ফল অনেক রোগ নিরাময়ে খুবই উপকারী এবং কার্যকর। এর ফল খেলে পাইলস, অন্ত্রের কৃমি, মূত্রনালীর ব্যাধি, রক্তপাত, কফ, চোখের ব্যাধি, ডায়াবেটিস, ক্ষত এবং কুষ্ঠরোগের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি আমরা নিমের ছালের কথা বলি, তাহলে প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। পাথরের উপর জল দিয়ে নিমের ছাল ঘষে পুরনো ক্ষতস্থানে লাগালে খুবই উপকার পাওয়া যেত। এছাড়াও, এটি ম্যালেরিয়া, পেটের রোগ, অন্ত্রের আলসার, চর্মরোগ, ব্যথা এবং জ্বরেও উপকারী।
advertisement
5/7
নিমের ছাল, পাতা বা ফলের খাওয়ার কথা বলতে গেলে, এগুলো চিবিয়ে, ক্বাথ (চা) তৈরি করে পান করা যায় অথবা রস হিসেবে খাওয়া যায়। এর ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা একটি ঐতিহ্যবাহী অভ্যাস যা আজও প্রচলিত। নিমের তেল চুল এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এর একটি ফল খাওয়া হয়, তাহলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা আরও কার্যকরভাবে দেখা দিতে শুরু করে।
advertisement
6/7
সবচেয়ে বড় কথা হলো, নিম পাতা রক্ত পরিশোধন করতে খুবই সক্ষম। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি তাজা নিম পাতা বা তুষা চিবিয়ে খেলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। এছাড়াও, ৫-৭টি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন এবং এর হালকা গরম ক্বাথ চায়ের মতো পান করুন। এই পদ্ধতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধও করে।
advertisement
7/7
নিমের পাতা, ছাল বা ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মহিলা, লিভার এবং কিডনির সমস্যা বা অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীদের এটি খাওয়ার আগে একজন আয়ুর্বেদিক বা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ বয়স, শরীরের প্রকৃতি এবং রোগের অবস্থা অনুসারে নিমের সঠিক মাত্রা কেবল একজন বিশেষজ্ঞই নির্ধারণ করতে পারেন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Piles & Diabetes: পাইলসের জ্বালা উধাও! জব্দ ডায়াবেটিস! লিভার, কিডনির রোগে মহৌষধ এই গাছের প্রতি অংশ! বাড়ির কাছেই পাবেন এই অলৌকিক সঞ্জীবনীকে