Females Bone Erosion: ৩০ থেকেই মহিলাদের হাড়ের ক্ষয় শুরু! মজবুত করতে হাড়, পাতে রাখুন এই সুপারফুড!

বয়স বাড়লেই ‌হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি হয়।‌ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে থাকে। হাড়ের এই বিশেষ রোগটিকে অস্টিওপোরেসিস বলা হয়। এই সমস্যায় হাড়ের ভিতরে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ঘনত্ব কমে যেতে থাকে। সেই কারণে, হাড় কিছু ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়।

আবার কিছু ক্ষেত্রে ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়ে যায়। আর এর ফলেই সারা বছর হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা লেগেই থাকে মহিলাদের। মহিলাদের এই সমস্যা হওয়ার পিছনে জিনগত সমস্যা এবং পুষ্টির অভাব মুলত দায়ী। এর মধ্যে পুষ্টির অভাবই বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

কোচবিহারের অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, "অস্টিওপোরোসিস একদিন তৈরি হয় না। রোগটি অনেক আগে থেকেই ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। মোটামুটি ৩০ বছর বয়স থেকে অনেক মহিলাই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে কম বয়স থেকে খাওয়াদাওয়ার কিছু নিয়ম মানলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব খুব সহজেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের খাবারে কিছু পুষ্টিগুণ থাকলে হাড়ের রোগ এড়ানো সহজ হয়। হাড় মজবুত করার অন্যতম প্রধান খনিজ পদার্থ হল ক্যালসিয়াম। এটি হাড় মজবুত করে। পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্বও‌ বাড়ায়। রোজকার খাবারে ক্যালসিয়ামের মাত্রা যথেষ্ট থাকা উচিত। এর জন্য বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া অনেকটাই গুরুত্বপূর্ন।"

হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার পিছনে ভিটামিনের অভাবও কিছুটা দায়ী। তাই ভিটামিন সি, ই ও কে রয়েছে এমন খাবার নিয়মিত ডায়েটে থাকা উচিত। এগুলিতে ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজও যথেষ্ট পরিমাণে থাকে।

বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম, আমন্ড ও কুমড়ো বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই খনিজ পদার্থটি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।ওজন কমানোর জন্য অনেকেই চিয়া বীজ খান। চিয়া বীজেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। হাড় মজবুত করার অন্যতম উপাধান হল ফোলেট।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান খনিজ পদার্থ। রোজকার ডায়েটে এই সমস্ত উপাদান রাখলে অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।