Piles Pain Control Tips: একটি পাতা বা হলুদ ফুলেই খেলা শেষ! ঝোপে জন্মানো এই গাছ সুগার-পাইলসের মহাশত্রু, শুধু জানুন কীভাবে খাবেন

*আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে অন্যতম অতিবলা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিত আমাদের অতিবলার গুরুত্ব সম্পর্কে নানা বিষয় জানিয়েছেন। সংগৃহীত ছবি।

*হলদে ফুলযুক্ত অতিবলা একটি খুব সুন্দর দেখতে উদ্ভিদ। এর পাতার স্বাদ কিছুটা মশলাদার এবং কিছুটা তিক্ত। এটি দেশে আরও নানা নামে পরিচিত। অতিবলা উদ্ভিদে অগণিত স্বাস্থ্য উপকারী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। সংগৃহীত ছবি।

*এই গাছটি আয়ুর্বেদে হাজার বছর ধরে বহু ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অতিবলা গাছের পাতা, ফুল এবং বীজে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর গুণাবলী উপস্থিত রয়েছে। তাই এটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। আজকাল বাজারে অতিবলা পাতার গুঁড়োও পাওয়া যায়। সংগৃহীত ছবি।

*শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, অতিবলার বীজে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পাইলসের উপসর্গ কমায়। এছাড়াও এটি খেলে দ্রুত ক্ষত সেরে যায় এবং ক্ষতস্থানের ব্যথাও কমে যায়। সংগৃহীত ছবি।

*অতিবলা শরীরে প্রবেশ করে অ্যান্টিডায়াবেটিক যৌগ হিসেবে কাজ করে। পাতা খেলে এটি শরীরকে ইনসুলিন তৈরি করতে উদ্দীপিত করে, যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়। তাছাড়া প্রতিদিন এই ওষুধ খেলে শরীরে উত্তেজনা আসবে এবং শরীর তরতাজা লাগবে। সংগৃহীত ছবি।

*স্টোন প্রতিরোধেও সহায়কঃ আয়ুর্বেদ অনুসারে, অতিবলার পাতা ও শিকড়ের বিশেষ গুণ রয়েছে। এর কারণে এটি শরীরে হওয়া স্টোনের সমস্যা কমায়। সংগৃহীত ছবি।

*অতিবলায় শ্লেষ্মা পাতলা করার বৈশিষ্ট্যও উপস্থিত রয়েছে। এটি খেলে কাশির সঙ্গে ভিতরে জমে থাকা শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসে এবং রোগ গোড়া থেকে সেরে যায়। সংগৃহীত ছবি।

*অতিবলা থেকে প্রাপ্ত উপরোক্ত গুণগুলি মূলত ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং কিছু গবেষণার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এর প্রভাব একেক জনের শরীরে একেক রকম হতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*এ ছাড়াও এটি কতটা পরিমাণে গ্রহণ করা হচ্ছে তার ওপরে ভিত্তি করেও এর গুণাবলী নির্ভর করে। অতিবলা সাধারণত যখন ওষুধ হিসাবে নেওয়া হয় তখন এটি নিরাপদ। কিন্তু এটি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করলে শরীরে বিষাক্ত প্রভাব পড়তে পারে, ফলে শরীরে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সংগৃহীত ছবি।