Lung Cancer। লক্ষণ দেখেও ফেলে রাখার ফল! ফুসফুসের ক্যানসার কখন ধরা পড়লে সারে? জানাচ্ছেন চিকিৎসক
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ভারতে ফুসফুসের ক্যানসার ধূমপান ছাড়াও বায়ুদূষণ ও জেনেটিক কারণে বাড়ছে, SVICCAR-এ সময়মতো চিকিৎসায় রোগীর জীবন বদলাচ্ছে, সচেতনতা ও স্ক্রিনিং জরুরি।
advertisement
1/13

ফুসফুসের ক্যান্সার সময়মতো ধরা পড়লে প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ। ভারতে নতুন ক্যান্সার আক্রান্তের প্রায় ৬.৯ শতাংশ এবং ক্যান্সারে মৃত্যুর ৯.৩ শতাংশের জন্য দায়ী এই রোগটি অঙ্কোলজির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
advertisement
2/13
স্ক্রিনিং, আধুনিক ডায়াগনস্টিক প্রযুক্তি এবং টার্গেটেড থেরাপিতে যথেষ্ট অগ্রগতি সত্ত্বেও ফুসফুসের ক্যান্সার এখনও বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার-জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ। অথচ এই মৃত্যুর একটি বড় অংশ প্রতিরোধযোগ্য, এবং রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
advertisement
3/13
ভারতে এই রোগকে দীর্ঘদিন ধরে মূলত ধূমপায়ী ও বয়স্কদের অসুখ হিসেবে দেখা হত, কিন্তু এখন ক্রমশই বেশি সংখ্যায় অধূমপায়ী এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ রোগীর মধ্যে এই ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে। বায়ুদূষণ, প্যাসিভ স্মোকিং, কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ এবং জেনেটিক কারণ—সব মিলিয়ে ঝুঁকি বাড়ছে।
advertisement
4/13
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অধিকাংশ রোগী উন্নত পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন, যখন অস্ত্রোপচার আর সম্ভব থাকে না এবং নিরাময়ের সুযোগও কমে যায়। এর অন্যতম কারণ হল, রোগের শুরুর লক্ষণ প্রায় নীরব—সামান্য কাশি বা শ্বাসকষ্টকে সাধারণ সংক্রমণ ভেবে অবহেলা করা হয়, এবং টিবি বা সিওপিডির মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সার আরও আড়ালে থেকে যায়।
advertisement
5/13
বহু বছর ধরে এই রোগকে ঘিরে একটি সামাজিক কলঙ্কও ছিল, কারণ একে ধূমপান-সম্পর্কিত রোগ হিসেবেই দেখা হত। এখন এই ধারণা বদলানো জরুরি। আজ ভারতে প্রতি পাঁচজন ফুসফুসের ক্যান্সার রোগীর একজন কখনও ধূমপান করেননি, বিশেষত মহিলাদের এবং তরুণদের মধ্যে এ প্রবণতা বাড়ছে।
advertisement
6/13
বায়ুদূষণ এখন দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুঁকি, এবং মহানগরগুলিতে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বিশ্বে ঘরের ভিতরের দূষণ কোথাও কোথাও কমেছে ঠিকই, কিন্তু নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে এখনও রান্নার জন্য কাঠ, কয়লা বা বায়োমাস জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঝুঁকি খুব বেশি।
advertisement
7/13
উচ্চ ঝুঁকির ক্ষেত্রেই লো-ডোজ সিটি স্ক্রিনিংয়ের কার্যকারিতা প্রমাণিত—৫০ বছরের বেশি বয়সী এবং দীর্ঘমেয়াদি ধূমপানের ইতিহাস থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই স্ক্রিনিংয়ে মৃত্যুহার প্রায় ২০ শতাংশ কমে। তবে ভারতে এই ধরনের সংগঠিত স্ক্রিনিং এখনও খুব সীমিত এবং বহু বাস্তব সমস্যার সম্মুখীন—অধূমপায়ী রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, টিবির মতো রোগের কারণে ভুল রিপোর্ট পাওয়া, এবং পরিকাঠামোর অভাব।
advertisement
8/13
গত দশকে উন্নত অস্ত্রোপচার, টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা-পদ্ধতিতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। মলিকিউলার টেস্টিংয়ের মাধ্যমে এখন রোগীর ক্যান্সারের জেনেটিক গঠন বোঝা যায় এবং সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, যার ফলে রোগীর আয়ু এবং জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
advertisement
9/13
ফলে যে রোগ একসময় প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেত, সেটিই এখন অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি, নিয়ন্ত্রিত অসুখ হিসেবে ব্যবস্থাপনাযোগ্য হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, ধূমপান-বিরোধী প্রচার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
advertisement
10/13
পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্ক্রিনিং চালু করা, প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসকদের সচেতন করা, সবার জন্য সাশ্রয়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাও জরুরি। ফুসফুসের ক্যান্সার আর মৃত্যুর সমার্থক হওয়া উচিত নয়।
advertisement
11/13
যে কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, এবং প্রতিটি সিগারেট এড়িয়ে যাওয়া একটি সম্ভাব্য জীবনকে রক্ষা করতে পারে। টাটা ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ SVICCAR-এ প্রতিদিন দেখা যায়—সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর পরিণতি কীভাবে বদলে যায়।
advertisement
12/13
ফুসফুসের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়, এটি সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্ব; আমাদের পরিবার এবং সমাজকে রক্ষা করতে হলে সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপই একমাত্র পথ।
advertisement
13/13
ড. সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অনকোলজিস্ট, টাটা ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন, বলেন— “ফুসফুসের ক্যান্সারকে শুধু ধূমপানের রোগ ভাবলে আমরা বিপদ ডেকে আনি। এখন আমাদের কাছে আগের চেয়ে অনেক বেশি অধূমপায়ী, তরুণ এবং মহিলা রোগী আসছেন। বায়ুদূষণ, প্যাসিভ স্মোকিং এবং দীর্ঘস্থায়ী রেসপিরেটরি ইনফেকশনের কারণে উপসর্গ অনেক সময় ঢেকে যায়, রোগীরা দেরিতে আসেন—আর সেই দেরিটাই রোগকে কঠিন করে তোলে।”
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Lung Cancer। লক্ষণ দেখেও ফেলে রাখার ফল! ফুসফুসের ক্যানসার কখন ধরা পড়লে সারে? জানাচ্ছেন চিকিৎসক