Kidney Damage: পচে দলা পাকিয়ে যাচ্ছে কিডনি! রাতে ঘুমের মধ্যে সাধারণ 'এই' লক্ষণ দেখলে সাবধান, সকালে উঠেই ডাক্তারের কাছে যান

*শরীরে অসুস্থতা বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। বিশেষত রাতের ঘুমের সময় দেখা যায় এমন কিছু লক্ষণ কিডনির সমস্যাগুলি নির্দেশ করতে পারে। কিডনি হল মূল অঙ্গ, যা শরীর থেকে বর্জ্য এবং টক্সিন অপসারণ করে। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রাতে অস্বস্তি বাড়বে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। সংগৃহীত ছবি।

*তবে এই লক্ষণগুলি অবহেলা করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আপনার যদি সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন যথা সময়ে, এতে জীবনের ঝুঁকি কমবে। সংগৃহীত ছবি।

*শ্বাসকষ্টঃ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পরপরই শ্বাসকষ্ট হওয়া বা বুকে ভারী অনুভূত হওয়া কিডনির সমস্যার লক্ষণ। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরের তরল ফুসফুসে চলে যায়। ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যায় এ ধরনের লক্ষণ খুবই দেখা যায়। রাতে ঘুমের মধ্যে সমস্যা বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। হার্টের সমস্যা দেখা দিলেও অনুরূপ লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। সুতরাং আপনি এটিকে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না। সংগৃহীত ছবি।

*পেশিতে খিঁচুনি বা টান ধরাঃ ঘুমের সময় হঠাৎ করে পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া বা ক্র্যাম্পিং কিডনির সমস্যার লক্ষণ। কিডনিতে সমস্যা হলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে পেশী শক্ত হয়ে যায়। সংগৃহীত ছবি।

*গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া ৩০% মানুষ এই লক্ষণটি অনুভব করেন। রাতে এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য এই উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা কয়ে নেওয়াই ভাল। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে কিডনি সুস্থ থাকবে। সংগৃহীত ছবি।

*ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াঃ রাতে বারবার প্রস্রাব করতে হলে এটাকে স্বাভাবিক হিসেবে নেবেন না। যদি প্রতি দু-তিন ঘণ্টা অন্তর ঘুম থেকে উঠতে হয়, তবে তা কিডনির সমস্যার লক্ষণ। কিডনি তরল সঠিকভাবে ফিল্টার করতে অক্ষম হলে প্রায়শই প্রস্রাব তৈরি হয়। সংগৃহীত ছবি।

*ডায়াবেটিস এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের মতো সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও একই রকম লক্ষণ দেখা যায়। তবে কিডনি বিকল হওয়ার ক্ষেত্রে এই সমস্যা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এজন্য রাতে বারবার প্রস্রাব করতে গেলে ইউরিন টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভাল। সংগৃহীত ছবি।

*ঘুমের মধ্যে অস্বস্তিঃ রাতে অস্বস্তি এবং বারবার জেগে ওঠাও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। শরীরে টক্সিন জমে গেলে শরীরে অধৈর্য ও অস্বস্তি দেখা দেয়। কিডনি ফাংশন ক্ষতিগ্রস্থ হলে এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়। কিডনির সমস্যাগুলি ঘুমের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং পর্যাপ্ত জল পান করে কিডনি রক্ষা করা যায়। এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা খুব বিপজ্জনক হতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*ফুলে যাওয়াঃ কিডনির সমস্যা হলে রাতে হাত-পা ফুলে যায়। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে তরল জমে। একে ইডিমা বলা হয়। রাতের ঘুমে এই লক্ষণ স্পষ্ট হয়। এমন রিপোর্ট রয়েছে, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া ৪০% মানুষ এই সমস্যাটি অনুভব করছেন। সংগৃহীত ছবি।

*ফোলাভাব বিশেষত পা এবং গোড়ালির কাছে দেখা যায়। যদি এটি ঘটে থাকে তবে আপনার অবিলম্বে কিডনির নানা পরীক্ষা করা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও কম নুন খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে কোনও দেরী না করে। সংগৃহীত ছবি।