Kidney Disease Symptoms: কিডনি খারাপ হওয়ার ‘৭’ লক্ষণ কী কী? ছুঁয়েও দেখবেন না এই ‘৩’ খাবার! তিলে তিলে ফুটিফাটা হবে কিডনি!
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Kidney Disease Symptoms:কিডনির সামান্য ক্ষতিও শরীরে এবং প্রস্রাবের সময় অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। দুর্বল কিডনি গুরুতর হওয়ার আগে কী ধরণের লক্ষণ দেয় তা জেনে নিন, যাতে আপনি সময়মতো ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা নিতে পারেন।
advertisement
1/8

 কিডনি মানবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার অনেক কাজ রয়েছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা। এটি রক্তকে ফিল্টার করে। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অবাঞ্ছিত, নোংরা এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। যদি কিডনি সুস্থ না থাকে এবং সঠিকভাবে তাদের কাজ সম্পাদন না করে, তাহলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন।
advertisement
2/8
 কিডনির সামান্য ক্ষতিও শরীরে এবং প্রস্রাবের সময় অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। দুর্বল কিডনি গুরুতর হওয়ার আগে কী ধরণের লক্ষণ দেয় তা জেনে নিন, যাতে আপনি সময়মতো ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা নিতে পারেন। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷
advertisement
3/8
 কিডনি শরীরের সবচেয়ে পরিশ্রমী অঙ্গ, যা শরীর পরিষ্কার করে। তারা প্রতিদিন রক্ত পরিশোধন করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত পদার্থ অপসারণ করে। যখন কিডনি দুর্বল হয়ে যায়, তখন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে রাতের বেলা প্রস্রাব, প্রস্রাবের রঙ বিবর্ণ হওয়া, প্রস্রাবের ফেনা, প্রদাহ, ক্লান্তি, মুখে তিক্ত স্বাদ, ক্ষুধা হ্রাস এবং ফ্যাকাশে ভাব। মাঝে মাঝে, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোমরের নীচে ব্যথাও কিডনির উপর চাপ বৃদ্ধির লক্ষণ।
advertisement
4/8
 আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ অনুসারে, কিডনির সমস্যা তিনটি দোষের ভারসাম্যহীনতার ফল। যখন বাত দোষ বৃদ্ধি পায়, তখন প্রস্রাবের প্রবাহ ব্যাহত হয়। পিত্ত দোষ বৃদ্ধি পেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ফোলাভাব বা রক্তের সৃষ্টি হতে পারে। কফ দোষ বৃদ্ধি পেলে শরীরে জল ধরে রাখার কারণ হয়, যার ফলে ফোলাভাব বা ভারী ভাব দেখা দেয়।
advertisement
5/8
 আয়ুর্বেদে, কিডনি সমস্যার চিকিৎসা কেবল লক্ষণগুলির উপর নয়, দোষের ভারসাম্য বজায় রাখার উপরও জোর দেওয়া হয়। বৈজ্ঞানিকভাবে, কিডনির কাজ হল রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা, ইউরিয়া এবং সোডিয়াম-পটাসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা। যখন কিডনির কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের নীচে নেমে যায়, তখন শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে শুরু করে, যার ফলে ক্লান্তি, ফোলাভাব এবং বিবর্ণতার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
advertisement
6/8
 আয়ুর্বেদ আপনার কিডনি সুস্থ রাখার জন্য বেশ কিছু প্রতিকার প্রদান করে। চা, কফি বা অন্য কিছুর পরিবর্তে, সকালে প্রথমেই হালকা গরম জল পান করুন। শরীরকে বিষমুক্ত করার জন্য ঘুমানোর আগে ত্রিফলা গুঁড়ো খান। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পুনর্নবা, গোখরু এবং গুলঞ্চের ক্বাথ পান করলে কিডনির কার্যকারিতা উন্নত হয়।
advertisement
7/8
 লবণ, জাঙ্ক ফুড এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। ঘরে রান্না করা খাবার খান। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কিছু যোগব্যায়াম আসন অনুশীলন করলে কিডনির স্বাস্থ্য বজায় থাকে। পবনমুক্তাসন, মন্ডুকাসন এবং ভুজঙ্গাসন রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কিডনিকে স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
8/8
 বাজারে পাওয়া প্যাকেজজাত পানীয় এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে, ঘরে তৈরি ধনেপাতার জল, ক্র্যানবেরি জল এবং পুনর্নবার রস পান করুন। এগুলো প্রদাহ এবং জ্বালা কমায় এবং শরীরে প্রাকৃতিকভাবে বিষমুক্তি প্রদান করে। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। ব্যথা হলে ব্যথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Kidney Disease Symptoms: কিডনি খারাপ হওয়ার ‘৭’ লক্ষণ কী কী? ছুঁয়েও দেখবেন না এই ‘৩’ খাবার! তিলে তিলে ফুটিফাটা হবে কিডনি!
