Kidney Damage: এই ৭ কারণে ক্ষতি হয় কিডনির, অভ্যাসগুলোর একটাও আপনার নেই তো?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Kidney Damage: ইন্টারন্যাশনাল নেফ্রোলজি সোসাইটি বলছে, বিশ্বব্যাপী ৮৫ কোটিরও বেশি মানুষ কিডনির রোগে ভোগে।
advertisement
1/7

ইন্টারন্যাশনাল নেফ্রোলজি সোসাইটি বলছে, বিশ্বব্যাপী ৮৫ কোটিরও বেশি মানুষ কিডনির রোগে ভোগে। এর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) এবং তীব্র কিডনি আঘাত বা অ্যাকিউট কিডনি ইঞ্জুরি (AKI) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন অভ্যাসের কারণে ত্বরান্বিত হয়।
advertisement
2/7
কিডনি কীভাবে আঘাত পায়:- পরিস্রবণ চাপ মুখ্য কারণ, অতিরিক্ত লোডের ফলে (যেমন, লবণ, প্রোটিন, ডিহাইড্রেশনের কারণে) নেফ্রনগুলিকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়।- রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া অথবা তরল পদার্থের অভাব গ্লোমেরুলার রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে ইস্কেমিক আঘাত হতে পারে।- কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে, যা সংলগ্ন কিডনি কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।- উচ্চ রক্তচাপ, সুগার এবং ধূমপান কিডনির মধ্যে থাকা ছোট ছোট রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফিল্টারিং ফাংশন ব্যাহত করে।- সংক্রমণ, অটোইমিউন রোগ অথবা প্রদাহ কিডনির টিস্যুর ক্রমাগত ক্ষতি এবং ফাইব্রোসিসের কারণ হতে পারে।
advertisement
3/7
দীর্ঘস্থায়ী জলশূন্যতা: কম জল খেলে কিডনি বর্জ্য পরিষ্কার করতে আরও বেশি পরিশ্রম করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রস্রাব গাঢ় রঙের বা স্বল্প হলেই শরীরের আরও তরল প্রয়োজন বুঝতে হবে।উচ্চ মাত্রায় লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ: খাবারে অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে তাদের পরিশোধন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
advertisement
4/7
অতিরিক্ত চিনি, সোডা, অথবা ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ পানীয়: বিশেষ করে সোডা বা মিষ্টিযুক্ত পানীয় থেকে বেশি চিনি খাওয়া ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এবং বিপাকীয় চাপ বৃদ্ধি করে, যা পরোক্ষভাবে কিডনির ক্ষতি করে।
advertisement
5/7
উচ্চ-প্রোটিন/উচ্চ-ফসফরাস যুক্ত খাদ্য: প্রোটিন অপরিহার্য হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে (বিশেষ করে প্রাণীজ প্রোটিন) খেলে তা কিডনিকে আরও বর্জ্য ফিল্টার করতে বাধ্য করে। এতে কিডনিতে চাপ পড়ে।ব্যথানাশক ওষুধের (NSAIDs) ঘন ঘন ব্যবহার: ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (যেমন আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, অ্যাসপিরিন, অথবা ওভার-দ্য-কাউন্টার পেনকিলার) কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, অতিরিক্ত ব্যবহারে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
advertisement
6/7
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাব: ঘুম হল সেই সময় যখন আমাদের শরীর নিজেকে মেরামতের কাজ করে। দীর্ঘস্থায়ী অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ থেকে উচ্চ রক্তচাপ, বিপাকীয় চাপ এবং প্রদাহের সমস্যা হয়, যা পরোক্ষভাবে কিডনির ক্ষতি করে। এভাবে কালক্রমে ব্যাহত সার্কাডিয়ান রিদম এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কিডনির ক্ষয় ত্বরান্বিত করতে পারে।
advertisement
7/7
ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা: ধূমপান কিডনির রক্তনালীগুলিকে সঙ্কুচিত করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। উচ্চ পরিমাণে অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং রক্তচাপকে প্রভাবিত করতে পারে। এর থেকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে, যা কিডনির রোগের প্রধান কারণ। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )