Side Effects of Eating Rice at Night: রাতে ভাত খেতেই হবে? না খেলেই মন আনচান? বড় ভুল করছেন না তো! জানুন সত্যিটা!

ভারতের ৫০% এরও বেশি মানুষ ভাত খান। বেশিরভাগ মানুষ দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারে ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই প্রশ্নটি প্রায়ই মানুষের মনে জাগে, "রাতে ভাত খাওয়া কি ঠিক নাকি?" কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে রাতে ভাত খেলে স্থূলতা বাড়ে, আবার কেউ কেউ ভাতকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন।

হজম করা সহজ, কিন্তু বসে থাকা জীবনযাত্রার জন্য ক্ষতিকারক:ভাত হালকা এবং এতে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, তাই এটি দ্রুত হজম হয়। কিন্তু রাতে এটি খেলে ওজন বাড়তে পারে। আসলে, আমাদের শরীর রাতে খুব একটা সক্রিয় থাকে না এবং বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনি রাতে খুব বেশি খাবার খেয়ে থাকেন এবং কোনও শারীরিক পরিশ্রম না করেন, তাহলে শরীরে ক্যালোরি জমা হতে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে।

রক্তে শর্করার উপর প্রভাব:সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক সূচক (GI) খুব বেশি, যার অর্থ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। তাই, রাতে সাদা ভাত খাওয়া ডায়াবেটিস এবং প্রাক-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যদি আপনি এখনও রাতে ভাত খেতে চান, তাহলে বাদামী ভাত অথবা হাতে গুঁড়ো করা ভাত খেতে পারেন। এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ধীরে ধীরে চিনি ছেড়ে দেয়।

ওজন বৃদ্ধি:যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে রাতে ভাত খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি এটি ঘি, আলু বা ভারী চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে খান এবং কোনও শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ঘুমাতে যান। ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, তাই যদি আপনি এটি খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে এটি চর্বিতে পরিণত হতে পারে।

এটা আপনাকে অবাক করতে পারে, কিন্তু ভাত খেলে রাতে ভাল ঘুম হতে পারে । কারণ ভাতে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ঘুম আনতে সাহায্য করে। এই কারণেই রাতে ভাত খাওয়ার পর অনেকেই দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে।

ডাঃ মনন ভোরা তাঁর সোশ‍্যাল মিডিয়া সাইটে বলেছেন, ‘ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি, যার কারণে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই বেড়ে যায়, কিন্তু এখনও একটি উপায় আছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল। তবে যদি খেতেই হয় তা হল ভাত ভিজিয়ে রাখা রান্নার আগে। রান্নার আগে চাল কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে এনজাইমেটিক ব্রেকডাউন হয়। এই প্রক্রিয়াটি ভাতের জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলিকে সরল শর্করাতে ভেঙে দেয়। এছাড়াও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয়।’

জলে ভাত ভিজিয়ে রান্না করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলেই হবে। তবে কেউ কেউ চাল প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে করে চালের ভিটামিন ও মিনারেল জলে মিশে যায়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)