Improve Your Gut Health: যাই খান তাতেই গ্যাস-অম্বল-চোঁয়া ঢেঁকুর? 'গাট হেলথ' ভাল রাখতে এই ৭ খাবার আজই ছাড়তে হবে

চিকিৎসক, পুষ্টিবিদরা বলেন, সুস্থ থাকতে গেলে আপনার গাট হেলথ ভাল রাখতে হবে। তবেই উন্নত হবে হজমশক্তি, বাড়বে মেটাবলিজম, দূর হবে গ্যাস-অ্যাসিডিটি-অম্বল-পেট ফাঁপা- কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা! তরতরিয়ে কমবে ওজনও।

গাট হেলথ বলতে কী বোঝায়? গাট হেলথ হল গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক বা জিআই ট্র্যাকের স্বাস্থ্য। এর মধ্যে পড়ে খাদ্যনালি,পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র— সবটাই। পুষ্টি শোষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও পেট বা গাট হেলথ জড়িত। এক কথায় সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হল ভাল গাট হেলথ! গাট হেলথ ভাল রাখতে কোন কোন খাবার আজই ছাড়তে হবে?

অতিরিক্ত অ্যানিম্যাল প্রোটিন-- মাংস, দুধ ও ডিমের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যায় না! কিন্তু যাঁরা অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খান, তাঁদের গাট মাইক্রোবিওম-এর উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ২০২৩ -এর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা বেশি অ্যানিম্যাল প্রোটিন খান, তাঁদের শরীরে গাট ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়, ফলে ওজন কমতে চায় না।

রিফাইনড তেল: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই রিফাইন্ড অয়েল খান। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে ওমেগা সিক্স এস থাকে উচ্চমাত্রায়। কিন্তু জারণের ফলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং তা তখন প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

স্ন্যাক বার: দ্রুত এনার্জি পেতে অনেকেই স্ন্যাক বার খান। বিশেষ করে এই প্রজন্ম। কিন্তু স্ন্যাক বারে থাকে কৃত্রিম ফাইবার, নানা রকমের বীজের তেল যা গাট হেলথ-এ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

দুধ কফি: কফি খেলে ভাল, কিন্তু ব্ল্যাক কফি। দুধ কফি নয়। দুধে থাকা ল্যাক্টোজ পেট ফাঁপার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।

ইনস্ট্যান্ট নুডলস: এটি সিংহভাগ মানুষের বাড়িতে ব্যবহার হয়। কিন্তু গবেষণা বলছে এই নুডল-এ ব্যবহার করা হয় প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

ফ্লেভার্ড ইয়োগার্ট: স্বাস্থ্যের জন্য ইয়োগার্ট ভাল, কিন্তু তাই বলে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট নয়। এটি পেটের পক্ষে ক্ষতিকর।

সুগার ফ্রি গাম: অনেকেই সুগার ফ্রি গাম চিবোন এই ভেবে যে এতে চিনি নেই, কাজেই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুগার ফ্রি গামে চিনির বদলে সরবিটলের মতো দ্রব্য থাকে যা গ্যাস, পেটফাঁপার অন্যতম কারণ।