Ghee in Pressure Cooker: প্রেশার কুকারে ঘি! সময় লাগবে ঠিক ১০ মিনিট...নাড়ানাড়ির ঝামেলা নেই, চটজলদি বানিয়ে ফেলুন ১০০% খাঁটি, দেশী ঘি, শিখে নিন সহজ রেসিপি

ঘিয়ে ভাজা লুচিই হোক বা শুধু ঘি ভাত। শুধু গন্ধেই সাধারণ রান্নাকে অসাধারণ করে তুলতে পারে ঘি। ভারতীয় রান্নার অন‍্যতম এই উপরকরনের ব‍্যবহার কেবল রান্নাতেই সীমিত নয়। ত্বকের যত্ন থেকে আয়ুর্বেদ, ঘিয়ের ব‍্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

কিন্তু খাঁটি শুদ্ধ দেশী ঘি পাওয়া যাবে কোথায়? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজারে উপলব্ধ ঘি ভেজালে ভরা। বিশুদ্ধ ঘি খুঁজে পাওয়াই কঠিন। পেলেও দাম প্রবল চড়া।

তাই শখ থাকলেও অনেকেই ঘি খেতে পারেন না। আবার বাড়িতে ঘি বানানো বেশিরভাগজনেই মনে করেন প্রবল ঝক্কির। কিন্তু বাড়িতে ঘি বানানোর কি কোনও সহজ উপায় রয়েছে? (Representative Image)

বিখ্যাত শেফ মঞ্জু মিত্তল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ‍্যাকাউন্টে বাতলে দিলেন একটি মুশকিল আসান। প্রেশার কুকারেই দিব‍্যি বানানো যাবে ঘি। ঝামেলাও অনেক কম। তিনি শিখিয়ে দিলেন ঘি বানানোর সহজ ট্রিকস। বাড়তি পাওনা হল, বাড়িতে বানানো এই ঘি হবে একেবারে খাঁটি, ১০০% বিশুদ্ধ।

এই সিক্রেট রেসিপি শিখে নিলে মাত্র ১০ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে ঘি। সাধারণত ঘি বানাতে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গ‍্যাসের সামনে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে অনেক দ্রুত তৈরি হবে ঘি। শিখে নিন ধাপে ধাপে(Representative Image)

প্রথম ধাপ: ঘি বানাবার প্রধান উপকরণ হল দুধের মালাই বা সর। বেশকিছুদিন ধরে দুধের মালাই আলাদা করে জমিয়ে রাখুন ফ্রিজে। লক্ষ‍্য রাখবেন মালাই যেন টাটকা থাকে, পচে গন্ধ না হয়ে যায়। এবার একটি প্রেসার কুকার একটু জল দিয়ে তাতে মালাই বা জমিয়ে রাখা সর দিয়ে দিন।

দ্বিতীয় ধাপ: এবার জল এবং মালাই খুব ভালভাবে মেশান। তারপর কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে গ্যাসে রাখুন। ২ থেকে ৩ সিটি আসা পর্যন্ত এটি রান্না হতে দিন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দিন এবং প্রেসার নিজে থেকে বের হতে দিন।

তৃতীয় ধাপ: যখনই কুকারের প্রেসার শেষ হয়ে যাবে, ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ আরও রান্না করুন। এতে মালাই ভালভাবে গলে যাবে এবং ঘি এবং খোয়া আলাদা হয়ে যাবে।

চতুর্থ ধাপ: এখন এটি ছেঁকে নিলেই পেয়ে যাবেন সুন্দর টাটকা ঘি। ঘি কাঁচের জারে স্টোর করুন। ছাঁকার পর বেরোনো খোয়া মিষ্টি বানাতে ব‍্যবহার করতে পারেন।

তবে এই পদ্ধতিতে ঘি বানাতে গেলে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি। কুকারে মালাই দেওয়ার আগে একটু জল অবশ্যই দিন যাতে কুকারে পুড়ে বা আটকে না যায়। কুকারের ঢাকনা তখনই খুলুন যখন এটি পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে। ঘি ছেঁকে স্টোর করার সময় কাঁচের জার ব্যবহার করুন যাতে ঘির শুদ্ধতা এবং গন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।