Winter Weekend Trip: রাজা-রানির মতো বড়দিন কাটাতে চান? ঘুরে আসুন 'লুটেরা'র সেই রাজবাড়িতে, খরচও মধ্যবিত্তের নাগালে
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Koushik Adhikary
Last Updated:
Hooghly Itachuna Rajbari Tour: ডিসেম্বরে শীতের আমেজ নিতে চাইছেন। ভাবছেন কলকাতা থেকে কোথায় যাবেন। ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরেই ইটাচুনা রাজবাড়িতে
advertisement
1/14

ডিসেম্বরে শীতের আমেজ নিতে চাইছেন। ভাবছেন কলকাতা থেকে কোথায় যাবেন। ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরেই ইটাচুনা রাজবাড়িতে ।
advertisement
2/14
ডিসম্বর ছুটি আর বাঙালি ঘুরতে যেতে চান অনেকেই। তবে কলকাতাতে এক পা এগোলেই লোকের সঙ্গে ঠোকাঠুকি, জনসমুদ্র, দমবন্ধ কলকাতা। সত্যি, মাঝে মাঝে পাগলের মতো ভিড়, দমবন্ধ ইটকাঠ, পাথর আর কংক্রিটের শহর থেকে মন পাড়ি দেয় অন্য কোথাও।
advertisement
3/14
অপেক্ষা শুধু সপ্তাহশেষে যৎসামান্য তল্পিতল্পা নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে যাওয়ার। তখন প্রতি দিনের ছাপোষা জীবন আর তুচ্ছতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে যদি এক ছুট্টে চলে যাওয়া যায় ইতিহাসমাখা কোনও রাজবাড়িতে? যদি যান্ত্রিক আধুনিকতাকে সটান ছুড়ে ফেলে কাটানো যায় কিছু রাজকীয় দিনরাত? তা হলে তো কথাই নেই! জনঅরণ্য থেকে খানিক দূরেই হুগলির ইটাচুনা রাজবাড়ি প্রস্তুত আভিজাত্যের চাদরে মোড়া মেদুর কিছু মুহূর্ত উপহার দিতে।
advertisement
4/14
মরাঠা থেকে দুর্দান্ত বর্গীর দল চৌথ আদায়ের জন্য তখন বার বার হানা দিচ্ছে এ রাজ্যে। সেই সময়েই বর্গী বাহিনীর কেউ কেউ প্রচুর ধনসম্পত্তি অর্জন করে স্থায়ী ভাবে বঙ্গদেশে থেকে যান।
advertisement
5/14
ইটাচুনা রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা কুন্দ্রারা ছিলেন তারই উদাহরণ। এই কুন্দ্রা থেকেই পরে হয় কুণ্ডু। সাফল্য নারায়ণ কুণ্ডুর বংশধররা ১৭৬৬ সালে এই রাজবাড়ি তৈরি করেন। বর্গীদের বাড়ি বলে স্থানীয়। মানুষ একে বর্গীডাঙাও বলেন।
advertisement
6/14
শহরের সীমানা ছাড়িয়ে গাছগাছালি মেঠো পথ, মাইলের পর মাইল সবুজে মোড়া চাষের জমি, কলোচ্ছ্বাসরত শিশুর দল চোখ জুড়িয়ে অদ্ভূত প্রশান্তি দেয় হৃদয়কে। পথ শেষ হয় রাজবাড়ির বিশাল ফটকে। গেট ছাড়িয়ে ভিতরে পা দিলে কেমন যেন গা ছমছম করে ওঠে।
advertisement
7/14
লোকলস্কর পাইক বরকন্দাজ— কালের নিয়মে সেই অতীত জৌলুসের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই এখন। তাও পুরনো দেওয়ালের প্রাচীন গন্ধ, উঁচু কড়িবরগার ছাদ, আল্পনা দেওয়া বিরাট নাটমন্দির, প্রাঙ্গন জুড়ে বিরাট বিরাট বাতিস্তম্ভ, প্রকাণ্ড ঝাড়বাতি দিয়ে সাজান ইতিহাসের গন্ধমাখা সুবিশাল বৈঠকখানা মুহূর্তে অন্য এক জগতের দরজা খুলে দেয় চোখের সামনে।
advertisement
8/14
এই বাড়িতে কানাকানি করে ইতিহাস। পুরনো প্রথা মেনে এই বাড়ির অন্দরমহল, বার মহলও সম্পূর্ণ আলাদা। কাছারি বাড়ি, হিসাবের ঘর, বাজার সরকারের ঘর পেরিয়ে তবে অন্দরমহলে পা। সেই যে বাবার এক আদরের মেয়ে, কৌতূহলী মায়াময় চোখে ভিতরমহলের বারান্দার একটা ছোট্ট জানালা খুলে চোখ রেখেছিল জমিদার বাবার কাছে চাকুরিপ্রার্থী পুরুষটির দিকে।
advertisement
9/14
প্রথম দর্শনেই প্রেম। সোনাক্ষী সিংহ আর রণবীর সিংহের ‘লুটেরা’ ছবির শুটিং এই বাড়িতেই হয়েছিল। বাড়ির মেয়েরা যাতে অন্দরের জানলা খুলে বাইরেটা দেখতে পান, অথচ তাঁদের কেউ দেখতে না পায় সেই ব্যবস্থা করা ছিল অলিন্দে ছোট ছোট জানলা করে। বাড়ির সবই সাবেক প্রথার।
advertisement
10/14
বড়কর্তা মেজোকর্তার সারিবদ্ধ ঘর, বিবর্ণ বহু পুরনো আসবাবপত্র, বিরাট সিন্দুক,কারুকার্যমণ্ডিত পালঙ্ক সবই। বাড়ির লম্বা নিঃঝুম অলিন্দ, জানলা দিয়ে ডিঙি মেরে দেখা বাইরের সবুজের সমারোহ, খিড়কির পুকুরে নুয়ে পড়া গাছ— সবই বড় মায়াবী, মনকেমন করা।
advertisement
11/14
রাজবাড়ির খাওয়ার ব্যবস্থাও রাজকীয়। অথেনটিক বাঙালি রান্না বলতে যা বোঝায়, পাওয়া যায় এখানে। বনেদি জমিদার বাড়ির অন্দরসজ্জায় সজ্জিত ঝকঝকে কাঁসার থালাবাটিতে পরিবেশিত এই খাবারের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে বহু দিন।
advertisement
12/14
কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বসিপুর, হালুসাই হয়ে খন্যান স্টেশনের পথ ধরতে হবে। হালুসাই থেকে মিনিট দশেক যাওয়ার পরই পড়বে রাজবাড়ি।
advertisement
13/14
ট্রেনে আসতে চাইলে বর্ধমান মেন লাইনের যে কোনও ট্রেন অথবা হাওড়া থেকে পাণ্ডুয়া লোকালেও আসা যায়। খন্যান স্টেশনে নেমে অটো বা রিকশা ধরে মিনিট দশেকের পথ রাজবাড়ি।
advertisement
14/14
কোথায় থাকবেনঃ ইটাচুনা রাজবাড়ি। ফোন- ৯৮৩১০৪৯৮১৬। ভাড়া-২১০০-৩০০০ টাকা। এ ছাড়াও রাজবাড়ির ঠিক পিছনে খামার বাড়ির মধ্যে রয়েছে মাটির বাড়ি। চাইলে এখানেও থাকা যায়। ভাড়া ১৫০০-২৪০০ টাকা। ভাড়া পরিবর্তিত হয় পুজোর সময় থেকে শীতকাল পর্যন্ত। তাই যাওয়ার আগে ফোন করে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Winter Weekend Trip: রাজা-রানির মতো বড়দিন কাটাতে চান? ঘুরে আসুন 'লুটেরা'র সেই রাজবাড়িতে, খরচও মধ্যবিত্তের নাগালে