'মন্ত্রের' মতো ম্যাজিক করবে শক্তিশালী ঘরোয়া 'উপায়'! হাঁটু গেড়ে বসবে 'হাঁটু ব্যথা'....! এই তেল লাগালেই ছুমন্তর...

হাঁটুতে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এখন শুধু বয়স্কদের নয়, তরুণ-তরুণীদেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই সমস্যার। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব এবং বার্ধক্যজনিত কারণে পেশী এবং টিস্যুর ক্ষতি চরমে পৌঁছয়। আর তারই জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে হাঁটুর সমস্যা।

কিন্তু হাঁটুর ব্যথাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। মাঝে মাঝে হাঁটুতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক তবে আপনার যদি ক্রমাগত এবং তীব্র ব্যথা হয় তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকরী হয় কিছু ঘরোয়া প্রতিকার। সেইসঙ্গে ব্যায়াম এবং ওষুধ দিয়ে এই সমস্যার চিকিত্সা করা যেতে পারে।

নয়ডার E-260 সেক্টর 27-এ অবস্থিত 'কপিল ত্যাগী আয়ুর্বেদ ক্লিনিক'-এর ডিরেক্টর ডঃ কপিল ত্যাগী এই সমস্যার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলছেন।আর এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করেই কিন্তু আপনি ব্যথা, ফোলাভাব, হাঁটু শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে দ্রুত উপশম পেতে পারেন।

আদা:পেশীর স্ট্রেইন বা আর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটুর ব্যথার জন্য প্রতিটি রান্নাঘরে থাকা 'আদা' দুর্দান্ত সমাধান। আদার প্রদাহরোধী, অ্যান্টি-আলসার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এর জন্য আপনি আদা চা বা আদার জল পান করতে পারেন অথবা আদার পেস্ট বানিয়ে ব্যথার স্থানে লাগাতে পারেন।

হলুদ:হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ে হলুদ বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে হলুদের পেস্টও লাগাতে পারেন।

গুদুচি বা গিলয়:গিলয় বাতের ব্যথায় সহায়ক হতে পারে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বাতের ব্যথা বা হাঁটু জয়েন্টের ব্যথার জন্য গুডুচির রস পান করার পরামর্শ দেন। গিলয়তে প্রদাহ বিরোধী এবং বাত বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে। জয়েন্টের ব্যথার জন্য গরম দুধের সঙ্গে গিলয় পাউডার খেতে পারেন।

সর্ষের তেল:হাঁটুর ব্যথা সারাতে সর্ষের তেল খুবই উপকারী। এটি হাঁটুর চারপাশে শিরায় রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ায় এবং পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা কমায়। এর জন্য সর্ষের তেলে কাটা রসুনের কোয়া মিশিয়ে হাঁটুতে ম্যাসাজ করুন।

ইপসম সল্ট:ইপসম লবণে ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফেটের মতো ব্যথা কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম আক্রান্ত স্থানের ফোলাভাব কমায়। এ জন্য স্নানের জলে ইপসম লবণ মিশিয়ে নিন।

ইপসম লবণ মিশ্রিত জল দিয়ে স্নান করলে রক্ত ​​চলাচল ভাল হয়। এছাড়াও আপনি আপনার জলে পেপারমিন্ট তেল এবং লবন তেল যোগ করতে পারেন।

লেবুলেবুর রস হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমায় যা আর্থ্রাইটিসের কারণ।

লেবুতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা প্রদাহ, ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে যা অচিরেই হাঁটুর ব্যথায় পরিণত হয়। এর জন্য, আপনি একটি লেবুর খোসা (সুতির কাপড়ে মুড়িয়ে) গরম তিলের তেলে ভিজিয়ে তা হাঁটুতে রাখতে পারেন।

দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।