Healthy Lifestyle: ‘তিল’-এর গুণ দিয়ে শরীরের সব রোগ পালাবে ম্যাজিকের মতো, চিকিৎসকের পরামর্শেই কামাল

: তিলের বীজ আমাদের শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। তাই ঠান্ডার দিনে আমাদের দেশের এর ব্যবহার বেশি করা হয়। তিল দেখতে ছোট হলেও এটি ঔষধি গুণে ভরপুর। আমাদের রোজকার খাবারেও তিলের বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শরীরে উষ্ণতা প্রদানে কার্যকর।

কৈমুর জেলার মোহনিয়ার বাসিন্দা প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. প্রিয়রঞ্জন আমাদের জানিয়েছেন যে, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে তিল খাওয়ার প্রথা চলে আসছে। এখানে মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই তিল খাওয়া শুরু হয়, কারণ তিল নানা ভাবে শরীরের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে।

প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. প্রিয়রঞ্জন আরও জানিয়েছেন যে, তিলের সেবন প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। আসলে যে কোনও কিছুই বেশি পরিমাণে খেলে যেমন শরীরের ক্ষতি হয়, তেমনই তিলের অত্যধিক সেবনও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তাই সর্বদা যথোপযুক্ত পরিমাণে তিল খাওয়া উচিত।

তিল শুধু শরীরকে সুস্থই রাখে তা নয়, এটি খেলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি ও ই, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান পায়। তিল নানা ভাবে খাওয়া যায়।

গুড়ের সঙ্গে তিল মিশিয়ে নাড়ু তৈরি করে যেমন খাওয়া যেতে পারে, আবার মিষ্টির সঙ্গে তিল মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত তিল ও গুড়ের তৈরি নাড়ুতে তিল ও গুড় উভয়েরই উপকার পাওয়া যায়।

ডা. প্রিয়রঞ্জন আরও বলেন যে, রোজকার খাবারের পাতে স্যালাডের সঙ্গেও তিল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ঘি দিয়ে তিল ভাজা বা সকালে খালি পেটে তিল চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুসারে প্রতিদিন এক চামচ তিল খাওয়া উচিত। আস্ত ঠান্ডা তিল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তিনি জানিয়েছেন যে, নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য তিল একটি অসাধারণ কার্যকরী ওষুধ। শিশু হক বা প্রাপ্তবয়স্ক, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তি তিল খেতে পারেন।