Healthy Lifestyle: শীতের সকালে বহু চেনা এই ফল খান, রোগ পালাবে এমন যেন যম দাঁড়িয়ে

: শীতে শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকেরা আমাদের নানা ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই মরশুমে ডুমুর খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। এটি সুপারফুড হিসেবেও পরিচিত। শীতকালে প্রতিদিন সকালে ডুমুর খাওয়া উচিত। ডুমুর এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ফলটি অন্যান্য শুকনো ফলের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে।

ডুমুরে রয়েছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান। ডুমুর কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য অসাধারণ ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি ডায়াবেটিসের মতো রোগ, মুখে উজ্জ্বলতা আনতে, উচ্চ রক্তচাপ এবং জয়েন্টের ব্যথা সারাতেও খুব উপকারী।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ডুমুর ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার ধরে রাখতেও বিশেষ উপকারী।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. পঙ্কজ পানুলি আমাদের জানিয়েছেন, ডুমুর সঠিক ভাবে এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া হলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এতে থাকা মিনারেল এবং ভিটামিন এটিকে সুপারফুডে পরিণত করেছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও বিশেষ উপকারী। ঘুমানোর আগে দুধে রান্না করা ২ থেকে ৩টি ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারও যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে ডুমুর ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই খাবার খেলে ব্লাড প্রেসারের লেভেল স্বাভাবিক থাকে।

ডুমুর খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয়, এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডুমুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-এ, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। নিয়মিত ডুমুর খেলে তা আমাদের ত্বকে পুষ্টি যোগায়, তাই শীতে আমাদের ত্বক সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডুমুর খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ডুমুর খেলে তা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বাড়াতেও সমান কার্যকরী।