Interesting: কলা নয়, তবুও কাঁচা থাকলে সবজি, পাকলেই ফল, বলুন তো কী? ৯৯ শতাংশ মানুষই ডাহা ফেল করবেন উত্তর দিতে

এমন এক খাবার জিনিস যা খুবই পরিচিত৷ বাঙালির ঘরে ঘরে রান্নায় ব্যবহার হয়৷ এটি সবজি এবং ফল, দুইয়ের তালিকায় পড়ে৷ কাঁচা থাকলে সবজি হিসেবে খাই আমরা আর পাকা থাকলেই হয় ফল৷ দুইয়ের দারুণ উপকার রয়েছে৷

সাধারণ জ্ঞান প্রতিটা মানুষেরই থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক সাধারণ জ্ঞান রয়েছে যা আমাদের ঘরোয়া আড্ডা থেকে চাকরির পরীক্ষা সবেতেই কাজে লাগে। এমন অনেক কিছু রয়েছে যা জানলে আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতাও বাড়ে।

আজ আমরা আপনাকে এমনই একটি বিষয় জানাব যা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনও না কোনওভাবে জুড়ে থাকে সেই খাবার নিয়ে নানা অবাক করা কিছু সাধারণ জ্ঞান শেয়ার করব যা জানলে আপনিও চমকে যাবেন।

সবজি হিসেবে যেমন উপকারি, ফল হিসেবেও এর গুণ কম নয়৷ দুটোই পুষ্টিতে ঠাসা৷

শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, অসাধারণ পুষ্টিগুণের এর জুড়ি মেলা ভার৷ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৯ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তা ছাড়া অল্প পরিমাণে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এবং কয়েক ধরনের ভিটামিন বি।

কাঁচা হিসেবে যেমন ঝোলা-ঝালে খাওয়া হয়, পাকা ফল হিসেবে শুধু এবং স্যালাড হিসেবেও খেলে ভাল লাগে৷ অর্থাৎ ঝাল-মিষ্টি সব স্বাদেই খেতে ভাল এই উপকারী সবজি-ফল৷

এখন কী মাথায় এল, কীসের কথা বলা হচ্ছে? ৯৯ শতাংশ মানুষই হয়ত মাথা চুলকে ভাবছেন কী এই জিনিস৷ উত্তর দিতে হোঁচট খাচ্ছেন তো? কিন্তু প্রতিদিনই প্রায় বাজারে গিয়ে কিনে আনছেন৷

বাজারে গেলে সাধারণ ভাবে যাঁরা সবজি বিক্রি করেন তাঁদের কাছে পেঁপে পাওয়া যায়৷ অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে হল সবজি৷

পেঁপে আমাদের অতিপরিচিত একটি ফল। এর একটি বিশেষ দিক হল এটি একাধারে ফল ও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।

কাঁচা পেঁপে আমাদের দেশে সাধারণত সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আছে ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিজ্জ ফ্যাট। তা ছাড়া কাঁচা অবস্থায় এতে সাইমোপ্যাপেইন এবং প্যাপেইন এনজাইম থাকে। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে সাহায্য করে।

পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসহ নানা রকমের পুষ্টি উপাদান, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পাকা পেঁপে আপনার শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।