Health Care: নদীর তীরে চরম অযত্নে জন্মায়, এই গাছ চেনেন না নিশ্চিত! সাক্ষাৎ সঞ্জীবনী হাজার রোগের যম

*মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার জঙ্গলে এমন হাজার হাজার গাছ, ও ঘাস রয়েছে, যা আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদে এই ধরনের গাছকে নানা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

*প্রায়শই যখন আমরা ভেষজ সম্পর্কে কথা বলি, আমরা সাধারণত তুলসি, গিলয় বা আমলা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি কথা বলি। কিন্তু এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যেগুলো তেমন গুরুত্ব পায় না। এমনই একটি উদ্ভিদ হল সত্যনাশী, যাতে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যাজমা বৈশিষ্ট্য।

*একে মানুষ অন্য অনেক নামে চেনেন। কোনও কোনও স্থানে লোকে একে কাঁটাকারি বলে, আবার কোনও কোনও স্থানে একে ভটকতাইয়াও বলা হয়। তবে আয়ুর্বেদে এটি সত্যনাশী নামে পরিচিত।

*নদী ও স্রোতের কাছে এই হলুদ ফুল ফোটে। সত্যনাশীর পরিচয় হল এর হলুদ ফুল, কাঁটাযুক্ত পাতা এবং ফুলের ভিতরে থাকা কালো, হালকা লাল বীজ। বিশেষ করে এই উদ্ভিদ, যা ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ বলে বিবেচিত হয়, ঠান্ডা জায়গায় জন্মায়, যেমন এটি নদী, পুকুর বা জলে ভরা মাঠের তীরে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বৃদ্ধি পায়।

*অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. অনুরাগ আহিরওয়ার আমাদের জানিয়েছেন যে, এর পাতার ক্বাথ পান করলে হাঁপানি নিরাময় হয়। পাশাপাশি এর নির্যাস খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

*রস জলে মিশিয়ে খাওয়া হয়। বীজের ধোঁয়া নিঃশ্বাসে নিলে দাঁতের ব্যথা ও কৃমির মতো মারাত্মক রোগও চলে যাবে। এর মূল পেটের পাথরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি পেটের পাথরকে সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করে।

*সম্পূর্ণ সত্যনাশী গাছটি অমৃতের মতো, মূল ও ফল অনেক ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর পাউডার ১ থেকে ৩ গ্রাম, ক্বাথ ৪০ থেকে ৮০ মিলি গ্রহণ করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে এই গাছ থেকে প্রাপ্ত ওষুধ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একবার কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন।