Health Tips: শীতের এই সবজি দেখেও খান না? রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য আর জীবনে কাছে ঘেষবে না খেলে!

শীতকালে এমন কিছু শাক-সবজি পাওয়া যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে অন্যতম হল বিটরুট। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয় পরিবার এটি স্যালাড আকারে খেতে পছন্দ করে, আবার কেউ কেউ বিটরুটের রসও পান করেন।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিটরুট সবজিতে যোগ করেও খাওয়া হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রায়ই আমাদের হজমের সমস্যা হয়, বিটরুট হজমের সমস্যাতেও সাহায্য করে।

বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। আয়রন আমাদের শরীরে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে, এর পাশাপাশি শরীরের হাড়কেও মজবুত করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের বিটরুট অবশ্যই নিজেদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে, বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও পাওয়া যায়। ফাইবার সাধারণত আমাদের হজমের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত বিটরুটের রস পান করতে হবে, এতে সাময়িক স্বস্তিও পাওয়া যায়। এটি খাবার হজমের ক্ষেত্রেও ফাইবারের সাহায্যে আমাদের সাহায্য করে।

বিটরুটে উপস্থিত ফাইবার আমাদের ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। এর জন্য বিটরুটের রস মুখে লাগানো যেতে। এতে ত্বক যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনই ত্বকের রঙও উজ্জ্বল হয়। তেমনই যাঁরা চুলে রঙ করতে চান, তাঁরাও প্রাকৃতিক রঙ হিসেবে হেনার সঙ্গে বিটরুট মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এতে চুলে জেল্লার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। চুল ছাড়াও বিটরুট ঠোঁটেও লাগানো যেতে পারে। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয় এবং ঠোঁটের রঙ গোলাপি হয়।

কল্যাণপুরের মেডিক্যাল অফিসার ডা. বি কে ঠাকুর আমাদের জানিয়েছেন যে, বিটরুট আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যাঁরা মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে চান তাঁদের ডায়েটে নিয়মিত বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।