Real or Fake Curd: ৭ দিনেই ছিপছিপে রোগা...! থলথলে চর্বি কমাতে দিন-রাত টক দই খাচ্ছেন? আসল না নকল! বুঝবেন কীভাবে? ছোট্ট ভুলেই 'বিকল' কিডনি, শরীর হবে ঝাঁঝরা

গ্রীষ্মকালে সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। কিন্তু যদি এই দই ভেজালযুক্ত হয় তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, রান্নাঘরে পাওয়া কিছু জিনিসের সাহায্যে আপনি সহজেই জানতে পারবেন যে দইটি ভেজালযুক্ত নাকি খাঁটি।

গ্রীষ্মকালে দই নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। দই বাটারমিল্ক, লস্যি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভেজাল দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি করতে পারে।

দই দীর্ঘক্ষণ সাদা এবং ঘন রাখার জন্য হাইড্রোজেনেটেড তেল বা সস্তা উদ্ভিজ্জ তেল যোগ করা হয়। এই ধরনের তেলে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

এছাড়াও, কিছু জায়গায় কৃত্রিম দুধ বা ভেজাল দুধ ব্যবহার করে দই তৈরি করা হয়। এই দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্চ, ইউরিয়া বা শ্যাম্পুর মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক ইতিমধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে, এই ধরনের ভেজাল দই খেলে পেট এবং লিভারের গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, এটি কিডনির উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, দই ব্যবহারের আগে তার বিশুদ্ধতা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমরা কিছু সহজ টিপস ব্যবহার করতে পারি। যার সাহায্যে আমরা সহজেই জানতে পারি যে দই ভেজালযুক্ত নাকি খাঁটি।

দইয়ের বিশুদ্ধতা শনাক্ত করার জন্য আমরা আমাদের হাত ব্যবহার করতে পারি। দই খাওয়ার আগে, আঙুল এবং বুড়ো আঙুলের মধ্যে ঘষে নিন। এই ক্ষেত্রে, যদি দই সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তাহলে সেই দই ভেজাল নয়। কিন্তু যদি এর ঘনত্ব সাবানের মতো আঠালো থাকে, তাহলে সেই দই ভেজাল হতে পারে।

এছাড়াও, আমরা দইয়ের গন্ধ নিয়ে এটাও বুঝতে পারি যে এটি খাঁটি নাকি ভেজাল। খাঁটি দইয়ের টক স্বাদ এবং প্রাকৃতিক সুবাস থাকে, অন্যদিকে যদি এই গন্ধ ছাড়া আপনি দইয়ে কোনও ধরণের গন্ধ অনুভব না করেন তবে এটি ভেজালের কারণে হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, দই কেনার সময় আমাদের কিছু বিষয়ের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। দইয়ের প্যাকেটে FSSAI নম্বর লেখা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, দই কেনার সময় আমাদের অবশ্যই এর উৎপাদন এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।