রোগা হতে গিয়ে ফ্যাট ছেড়েছেন? তাহলেই মরেছেন!

রোগা হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় ভিলেন মনে করা হয় ফ্যাটকে৷ রোগা হওয়ার প্ল্যান করলে আমরা সবচেয়ে আগে তাই খাবার থেকে ছেঁটে ফেলতে চাই ফ্যাট৷ জানেন কি ফ্যাট শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ফ্যাট খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিলে অনেক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন৷

দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই এই প্রোটিন মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে৷ রোগা হওয়ার জন্য তাই ফুল ফ্যাট ডেয়ারি মিল্ক অত্যন্ত জরুরি৷

জানেন কি দুধের মতোই পুষ্টিকর মাখনে থাকা ফ্যাট? বিশেষ করে সাদা মাখন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল৷

যেই ফ্যাট আমাদের প্রতি দিন খাওয়া উচিত তা হল ঘি৷ পুষ্টি জোগানো, স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অব্যর্থ ঘি৷

তাড়াতাড়ি রোগা হতে চান? তাহলে যে কোনও রান্না, এমনকী কফিতে মিশিয়ে নিন নারকেল তেল৷ নারকেল তেলের ফ্যাট মেদ ঝরাতে যেমন উপকারী, তেমনই খেয়াল রাখে ত্বকেরও৷

ডায়েটিশিয়ানরা অলিভ অয়েল পরামর্শ প্রায়ই দিয়ে থাকেন৷ রান্নায় শুধু নয়, স্যালাডে কাঁচা অলিভ অয়েল ছড়িয়ে খেলেও ফ্যাট কমবে তাড়াতাড়ি৷ এই অলিভ অয়েলের যে উপাদান সবচেয়ে উপকারী তা হল ফ্যাট৷

যদি প্রতি দিন পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে জানবেন বাদামের ফ্যাট সবচেয়ে উপকারী৷

ডিমের কথা আলাদা করে কিছু বলার নেই৷ অনেকেই রোগা হওয়ার জন্য কুসুম বাদ দিয়ে শুধুই ডিমের সাদা অংশ খান৷ জেনে রাখুন ডিমের সাদা এবং হলুদ, দুইয়ের ফ্যাটই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷

ভাল দুধের তৈরি পনির বা ছানা এতটাই উপকারী যে এই বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেরই এই ফ্যাট রোজ খাওয়া উচিত৷

রোগা হওয়ার যতই চেষ্টা করুন না কেন তেলযুক্ত মাছ খাওয়া কোনও দিন ছাড়বেন না৷ কারণ মাছের তেল মানেই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড৷ যা শুধু মেদ ঝরাতে না, সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ভাল রাখে দৃষ্টিশক্তি৷

সবশেষে আসি ডার্ক চকোলেটের কথায় ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্যাট৷ এই ফ্যাট মেদ ঝরানোর পাশাপাশি খেয়াল রাখে আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যার৷