Health Benefits of Ghee: স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি, ঘি খেলে কি মোটা হয়? সত্যিটা জানা দরকার
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Health Benefits of Ghee: গবেষকরা বলেন, হৃদরোগের অন্যতম কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর ঘি এই স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি। তাহলে কি ঘি খাওয়া উচিত?
advertisement
1/8

বাড়িতে তৈরি করে ঘি খাওয়া, কয়েক হাজার বছর ধরে এই রীতির চল রয়েছে ভারতে। সাতের দশকের গোড়ায় এসে এই পরম্পরায় খানিক ছেদ পড়ে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
2/8
গবেষকরা বলেন, হৃদরোগের অন্যতম কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর ঘি এই স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি। এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ৯ গ্রামই হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সেই ১৫ গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ৪৫ মিলিগ্রামের মতো কোলেস্টেরল। তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ ছিল, হৃদরোগ ঠেকাতে হলে বর্জন করতে হবে ঘি।
advertisement
3/8
পরবর্তী গবেষণায় দেখা গেল, হৃদরোগ সম্পর্কিত ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেল, সবচেয়ে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খান ফ্রান্সের মানুষ। অথচ হৃদরোগে মৃত্যুর হার ফ্রান্সেই সবচেয়ে কম। ফলে তখন 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল'-এর বিজ্ঞানীরা জানালেন, সারা দিনে যত ক্যালোরি খাওয়ার কথা, তার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসা উচিত ফ্যাট থেকে। তার মধ্যে ১০ শতাংশের কম যদি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে আসে, তা হলে ক্ষতি নেই। বরং তা উপকারই করবে।
advertisement
4/8
যে হেতু এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড, তাই অঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, দিনে দু'চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। শুধু তাই নয়, এক চামচ ঘি থেকে যে ৪৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যা, তাও শরীরের দৈনিক চাহিদার মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে ঘি মানেই যে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, এমন ভাবার কোনও কারণই নেই।
advertisement
5/8
একইসঙ্গে ঘি আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ নয়। এটা সত্যি যে, ঘি-তে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। কিন্তু এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী এবং পরিপাকনালীর স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। ঘাস খাওয়া গরু থেকে উৎপন্ন ঘি এ কঞ্জুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড (CLA) থাকে যা ওজন কমতে সাহায্য করে।
advertisement
6/8
ঘি দিয়ে খাবার রান্না করা কী স্বাস্থ্যসম্মত? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি রান্না করতে পারেন ঘি দিয়ে। তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করুন। ঘি-এর স্মোকিং পয়েন্ট অন্য তেলের চেয়ে বেশি। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল উৎপন্ন করে না। তেল বা চর্বির স্মোকিং পয়েন্ট হচ্ছে তাপমাত্রার সুনির্দিষ্ট অবস্থা যেখানে তেল থেকে ক্রমাগত নীলাভ ধোঁয়া উৎপন্ন হয় যা স্পষ্ট দেখাও হয়।
advertisement
7/8
ঘি খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে সবজি রান্নার সময় ঘি ব্যবহার করা। ঘি-এর স্মোকিং পয়েন্ট অনেক বেশি হওয়ায় বিভিন্ন খাবার ভাজার জন্যও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। রুটির উপর ছড়িয়ে দিয়ে বা গরম ভাতের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন ঘি।
advertisement
8/8
তবে ঘি-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক হলেও যদি আপনার ডায়াবেটিস বা উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তাহলে ঘি এড়ানো উচিত। এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Health Benefits of Ghee: স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি, ঘি খেলে কি মোটা হয়? সত্যিটা জানা দরকার