গাছের শিকড় ভেজানো জলে সারবে সর্দি-কাশি পেটের রোগ, আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে এই মশলা!

হলুদ একটি খুব পরিচিত একটি মশলা। যা রোজকার রান্নাতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। হলুদ, ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

হলুদের গুঁড়ো প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয় তবে কাঁচা হলুদে উপকার বেশি। দেখতে অনেকটা আদার মতো হয় কাঁচা হলুদ। কাটলে এর ভিতরে হলুদ রঙ দেখা যায়। আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় একে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌরভ সিং রাজপুত বলেন, ' হলুদ অনেক রোগ নিরাময়ে সহায়ক।'

হলুদ কাশি, অ্যানোরেক্সিয়া, আমাশয়, পেটের ব্যাথা, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং দাঁতের রোগের চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল যেমন লিভারের রোগ, আলসার এবং পেট ফাঁপা রোগেও উপকারী।

কাঁচা হলুদ এবং লেবুর ম্যাসেরেটেড রাইজোমগুলি আঘাতের কারণে ফুলে যাওয়া এবং পেশী ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌরভ সিং রাজপুত মতে, প্রসবের পরে ক্ষত নিরাময়ের সুবিধার্থে পেরিনিয়াল ক্ষতগুলিতে হলুদ বাটা ব্যবহার করা যায়। কারণ হলুদের বাটা অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। সেই কারণে এটি নবজাতক শিশুদের নাভিতে অনেক সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পোড়া, পোকার কামড়ের কাঁচা হলুদ বাটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হলুদ ও নিমের মিশ্রণ চিকেনপক্স, গুটিবসন্ত এবং হামের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা হলুদ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এটি খাওয়ার জন্য, প্রথমে এটি পিষে নিতে হবে। তারপর গরম জলে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে মধুও মেশাতে পারেন। এই পানীয়টি নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। হলুদের এই পানীয়টি ডিটক্স পানীয় হিসেবে কাজ করে।