Guava Leaves: পেয়ারা পাতা ফেলে দিচ্ছেন? বড় ভুল করছেন! এই পাতা কোলেস্টেরল-ডায়াবেটিসের যম, ওজন-চুল পড়া কমায় ৭ দিনেই

সাধ্যের মধ্যে পুষ্টিকর ফল পেয়ারা! নানা রকম ভিটামিন, খনিজে ভরপুর এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে, ক্যালরি কম। পেয়ারায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ক্যালোরির পরিমাণ ৬৮, কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৪.৩ গ্রাম, প্রোটিন ২.৫৫ গ্রাম, ৫.৪ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার, ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এ ছাড়াও থাকে ভিটামিন এ, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ভিটামিন এবং খনিজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পেয়ারা অত্যন্ত কার্যকর। তবে শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতার-ও গুণ প্রচুর!

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ আশিস বলেন, যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের জন্য পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী হতে পারে। সকালে খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়া পেটের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। যাঁরা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য পেয়ারা পাতা একটি ঔষধ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সকালে খালি পেটে এই পাতাগুলো চিবিয়ে খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পেয়ারা ফল যেমন ওজন কমায়, ঠিক তেমনই এর পাতাও শরীরের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার দেহের ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে দ্রুত ঝরে মেদ। পেয়ারা পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্যাটাইটি সেন্টারের উপর কাজ করে, ফলে খিদে পায় না। এই কারণে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না।

খুব চুল পড়ছে? সমস্যার সমাধান করবে পেয়ারা পাতা। চুলের গোড়া মজবুত করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা ফোটানো জল দিয়ে নিয়মিত মাথা ধুলে, চুলের ফলিকল পুষ্টি পায়, চুল পড়া কমে, নতুন চুলও গজায়।

সকাল সকাল পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। তাতে হজমের যাবতীয় সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।

পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি খেলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে যায়। হজমের সমস্যায় পেটে ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে পেয়ারা পাতা। এই পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি-অ্যালার্জিক গুণও রয়েছে। ফলে তা সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা কমাতেও দারুণ উপকারী। নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এখানেই শেষ নয়, পেয়ারা পাতা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

পেয়ারা পাতার মধ্যে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা মাড়ির প্রদাহ এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের মত সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন, এমন রোগীরা পেয়ারা পাতা খেলে উপকার পাবেন।