Gajorer Halwa: পুষ্টির সঙ্গে মিষ্টিমুখ! শীতের বিকেলে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর গাজরের হালুয়া, জেনে নিন সহজ টোটকা

গাজরের হালুয়া কেবল শীতের একটি সুস্বাদু মিষ্ট পদই নয়, এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে। গাজরে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং শীতকালে ঠান্ডা এবং ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে।

গাজরের হালুয়া ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বাদাম (বাদাম, কাজু, আখরোট) এবং এতে থাকা দুধ শরীরকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং শীতকালে উষ্ণতা প্রদান করতে সাহায্য করে।

হালুয়ায় ব্যবহৃত এলাচ এবং ঘি কেবল এর স্বাদই বাড়ায় না বরং বিপাক ক্রিয়াও বাড়ায়। এটি শক্তি সরবরাহ করে এবং সারা দিন শরীরকে সক্রিয় রাখে। গাজরের হালুয়া স্বাস্থ্য এবং স্বাদের একটি নিখুঁত শীতকালীন মিশ্রণ। এটি পরিমিত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি দূর হয়।

একটি স্বাস্থ্যকর গাজরের হালুয়া রেসিপি তৈরি করতে ঐতিহ্যবাহী রেসিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি কেবল হালুয়াকে পুষ্টিকর করে তুলবে না বরং ক্যালোরি কমাতে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করতেও সাহায্য করবে। ফুল-ক্রিম দুধের পরিবর্তে স্কিমড বা কম ফ্যাটযুক্ত দুধ ব্যবহার করতে হবে। এটি ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমাবে।

চিনির পরিবর্তে খেজুরের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে। এটি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে বাধা দেয়। পুরোটা ঘি দিয়ে না করে সাদা তেলে ১-২ টেবিল চামচ ঘি ব্যবহার করতে হবে। এটি স্বাদ বাড়াবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।

বাদাম, আখরোট এবং তিলির মতো স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত বাদাম এবং বীজ যোগ করতে হবে। এগুলি ভাজা হললে হালুয়াটির মুচমুচে ভাব বৃদ্ধি পাবে। গাজরের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং দুধের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। এতে হালুয়া ঘন এবং আরও পুষ্টিকর হয়ে উঠবে। ঐতিহ্যবাহী হালুয়া খোয়া ক্ষীর দিয়ে তৈরি করা হয়। পরিবর্তে, কম আঁচে রান্না করে দুধ ঘন করতে হবে।

এটি তৈরি করতে একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি আর সাদা তেল গরম করতে হবে, তাতে কুচানো গাজর যোগ করতে হবে এবং কম আঁচে ৫-৭ মিনিট ভাজতে হবে।

তার পর ভাজা গাজরের সঙ্গে দুধ যোগ করতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে, ক্রমাগত নাড়তে হবে যতক্ষণ না গাজর নরম হয়। দুধ ঘন হতে শুরু করলে, খেজুর বাটা, এলাচ গুঁড়ো এবং কুচানো বাদাম যোগ করতে হবে। আরও ২-৩ মিনিট ধরে হালুয়া রান্না করতে হবে। কিশমিশ যোগ করতে হবে এবং পরিবেশন করতে হবে।

গাজরের হালুয়া সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর, তবে অতিরিক্ত খাওয়া হলে এটি ওজন বাড়াতে পারে। গাজরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকে, যা শক্তি জোগায়। তবে, হালুয়ায় প্রায়শই ঘি, চিনি এবং দুধ থাকে, যা ক্যালোরি বাড়াতে পারে। কেউ যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করে, তাহলে সীমিত পরিমাণে এবং কম চিনি এবং ঘি দিয়ে হালুয়া খেতে হবে।

এছাড়াও, হালুয়ায় থাকা ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন বায়োটিন এবং ভিটামিন সি, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে, এর উচ্চ ক্যালোরির পরিমাণ ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অতএব, গাজরের হালুয়া খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি এড়াতে এর পরিমাণ এবং উপাদানগুলির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।