মাংসের চেয়েও স্বাদু এই 'মাছ'...! সুগারের যমদূত, বাড়তে দেয় না ওজন, ছুঁতে দেয় না ক্যানসার, মুঠোয় রাখে বিপি, নাম শুনলেই থলে নিয়ে ছুটবেন বাজার!

আপনি কি ডায়াবেটিসে ভুগছেন? নাকি হাই প্রেশারের রোগী? অথবা কমাতে চান ওজন কিংবা শরীরের সর্বাঙ্গীন ফিটনেস নিয়ে একটু বেশি সচেতন? যদি তাই হয়, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আজ স্বাস্থ্যের এমন এক অদ্ভুত চমৎকারের হদিস দেব যার ঔষধি গুণ মাত দেবে হাজার অ্যালোপাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধকেও! আয়ুর্বেদের আবিষ্কার এই মাছটি বাজারে যে খুব বেশি দেখা যায়, তা নয়, তবে এই মাছের গুণ আর স্বাদের বহর শুনলে আপনিও ঠিক খুঁজে নেবেন।

ইলিশের মতোই দেখতে খুবই আকর্ষণীয় এই মাছটি। শরীরের রঙ এবং পিঠ হালকা সবুজ এবং হলুদ রঙের হয়। এটি খেতে খুবই মজাদার হয় তার একটা কারণ হল এই মাছটির শরীরে খুব কম আঁশ এবং কাঁটা থাকে আর তেমনই খেতেও হয় দারুণ।

সাধারণত বাজারে মাছ কেনার সময় সেগুলি পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এই মাছ কেনার সময়, শরীরের গঠন দেখে নেওয়াই যথেষ্ট। খেয়াল রাখবেন, মাছটি নষ্ট বা পুরনো হলে, শরীরে দাগ থাকবেই।

এই মাছে অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন B5 এবং B6 রয়েছে। এগুলি বাত বা হাড়ের রোগের মতো বয়স-জনিত রোগ প্রতিরোধেও দুর্দান্ত কার্যকর হয়।

ধারালো মুখ বিশিষ্ট এই ছোট মাছটির নাম কুমুলা মাছ। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আপনি এখানে এই মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন।

বাংলায়, 'কুমুলা' মাছ বলতে ভারতীয় ম্যাকেরেলকে বোঝায়, যা 'বাংড়া' নামেও পরিচিত। এই মাছের আরেকটি বাংলা নাম হল 'কাজল গৌরি'।

এই ভারতীয় ম্যাকেরেল (রাস্ট্রেলিগার কানাগুরতা) পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের অনেক জায়গায় একটি জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য মাছ। এটি তার দুর্দান্ত স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত, বিশেষ করে এর উচ্চ পরিমাণে ওমেগা ৩ একে আলাদা দর দিয়েছে মৎস্যজীবী মহলে।

কুমুলা মাছের ঔষধি গুণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এই মাছটি ওমেগা-৩ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের রোগীদের জন্য খুবই উপকার।

কুমুলা মাছ মানসিক চাপ এবং মানসিক ক্লান্তিও কমায় ম্যাজিকের মতো। শুধু তাই নয়, এই মাছটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ, কার্বোহাইড্রেটমুক্ত এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এই বিষয়ে তাঁর পরামর্শে পুষ্টিবিদ রূপা চক্রবর্তী বলেন, যদি আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং আপনার উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করতে চান, তাহলে কুমুলা মাছ হতে পারে সেরা পছন্দগুলির মধ্যে একটি।

এই মাছ ভাজা খেতে দারুণ। জেলেদের মতে, ভাজা কুমুলা মাছ এই মাছের তরকারির চেয়েও সুস্বাদু বলে মনে করা হয়।

এই মাছটি কেবল সুস্বাদুই নয়। এটি এক ধরণের প্রাকৃতিক ঔষধও। তাই আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিন্তিত হন এবং ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় কুমুলা মাছ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।