Fish: পমফ্রেট দেখে জিভে জল! শরীরে কী প্রভাব ফেলে, আরেকবার খাওয়ার আগে জানুন

পমফ্রেট মাছ দামে যেমন উচ্চ তেমনই খেতেও সুস্বাদু। তবে জানেন এই মাছ এর মধ্যে কী গুনাগুন রয়েছে!এই বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন বিশিষ্ট ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায়। স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের পুষ্টি বৃদ্ধিতে মাছের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর (সেল মেমব্রেন) গঠন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।যাঁরা সপ্তাহে তিন দিন বা বেশি এই মাছ খান তাঁদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষ অনেক বেশি সুগঠিত ও বেশি কর্মক্ষম।

পমফ্রেট একটি জনপ্রিয় ভারতীয় মাছ যা সাধারণত উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এটি প্রোটিনের একটি চর্বিহীন উৎস এবং পিউরিনে তুলনামূলকভাবে কম। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে এই মাছ বেশি করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

পমফ্রেট মাছ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম-সহ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলির একটি ভাল উৎস। গবেষণা দেখা গিয়েছে, এই খনিজগুলি শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে।এই ছাড়াও হাত পা ব্যাথার মতন সমস্যা থাকলে অবশ্যই এই মাছ আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।

১০০ গ্রামের একটি পমফ্রেট মাছে শক্তি থাকে ৯২ কিলোক্যালোরি। এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে না। যেটুকু থাকে, তা বিশেষ প্রভাব ফেলে না শরীরে। ফ্যাট থাকে ২ গ্রাম মত। স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ১ গ্রাম মত। প্রোটিন ১৮ গ্রাম। সোডিয়াম ৬৫ মিলিগ্রাম।এছাড়াও রয়েছে আরও পুষ্টিগুণ।

পমফ্রেটে উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন টিস্যু তৈরি এবং মেরামত করার জন্য, পেশির বৃদ্ধি এবং একটি স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি এবং মেরামত প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওযা যেতে পারে এই মাছ থেকে।