TRENDING:

Bonedi Barir Pujo: পুজোয়ে ফিরতে চান শিকড়ের টানে, একবার ঘুরে যান 'এই' গ্রামের বনেদি বাড়িতে!

Last Updated:
পুজো মানেই বাঙালির কাছে উৎসব আর নস্টালজিয়া। এই সময়ে শহরের ব্যস্ততা থেকে দূরে, ঐতিহ্যের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতে চান অনেকে। যদি আপনিও তেমন কিছু ভাবছেন, তাহলে জমিদার বাড়ির পুজো হতে পারে আপনার জন্য সেরা বিকল্প। 
advertisement
1/5
পুজোয়ে ফিরতে চান শিকড়ের টানে, একবার ঘুরে যান 'এই' গ্রামের বনেদি বাড়িতে!
বড়শুল, পূর্ব বর্ধমান: পুজোর সময়টা বাঙালি মানেই উৎসবের আমেজ, ছুটির আনন্দ আর শিকড়ের টান। আর এই সময়ে যদি ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে ছুটি কাটাতে চান, তাহলে জমিদার বাড়ির পুজো হতে পারে আপনার সেরা গন্তব্য। শত শত বছর ধরে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে এই জমিদার বাড়ি গুলিতে,সেই সব বাড়িগুলিতে বছরের অন্যান্য সময় পর্যটকদের প্রবেশের সেভাবে অনুমতি না থাকতেও পুজোর সময় খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য। এই জমিদার বাড়িগুলিই ইতিহাস আর সংস্কৃতির সাক্ষী। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
2/5
পুজোয়ে ফিরতে চান শিকড়ের টানে, একবার ঘুরে যান 'এই' গ্রামের বনেদি বাড়িতে!
প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী এরকমই একটি জমিদার বাড়ি হল পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল দে বাড়ি। পুরনো ঝুল বারান্দা, দেওয়ালের সুন্দর কারুকার্য, আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। পুজোর সময় পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতে পারবেন এক মনোরম পরিবেশে। এক সময় বর্ধমান সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কামান দাগার আওয়াজ শুনে বলি হত এখানে। বর্তমানে তা অতীত কিন্তু দশমীর দিন গেলে দেখতে পাবেন এক বিশেষ দৃশ্য।প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই রীতি আজও বজায় রেখেছেন 'দে' বাড়ির সদস্যরা।প্রতিবছর দশমীতে কাহাররা আসেন 'দে' বাড়িতে। তাদের কাঁধে চড়েই কৈলাশে পাড়ি দেন হরগৌরী।
advertisement
3/5
দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষত্ব।বেশিরভাগ জায়গায় দুর্গাপূজার সময় দেবী দশভুজা রূপে পুজিত হলেও আনুমানিক প্রায় তিনশো বছর ধরে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের 'দে' বাড়িতে দেবী পুজিত হচ্ছেন হরগৌরী রূপে। গনেশ,কার্তিকের বাহন থাকলেও লক্ষী ও সরস্বতীর কোন বাহন থাকে না 'দে' বাড়ির দুর্গাঠাকুরের।দেবী দুর্গা বসে মহাদেবের বাম ঊরুতে।দেবী এখানে দশভুজা নন দ্বিভূজা।নেই মহিষাসুরও।পরিবারের হরগৌরী রূপে দেবীর পুজোর প্রচলন নিয়েও রয়েছে নানা কাহিনী।
advertisement
4/5
এই জমিদার পরিবারের একসময় তাম্বুল ও লবণের কারবার ছিল। দামোদর নদ ব্যবহার করে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। সেই আমলের জমিদারির নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে বড়শুলের একটা বড় অংশে। অতীতের আভিজাত্য, ঐতিহ্য, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। পলেস্তারা খসে পড়েছে অনেক জায়গায়। সরু ইটেও ক্ষয় ধরেছে।ঠাকুর বাড়িতে ঢোকার একটা সিংহদারজা ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে করতে হয়েছে।তবে কয়েকটি বাড়িতে এখনও পরিবারের উত্তরসূরিরা বসবাস করেন। বাকি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। অনেকে অন্যত্র বসবাস করেন। তবে পুজোর সময় অনেকেই ফিরে আসেন বাড়িতে। আর পুজোর সময় গেলে দে বাড়িতে কিভাবে শুরু হয়েছিল হরগৌরী পুজো তার নানান গল্প শুনে নিতে পারবেন তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই। ভাবছেন তো যাবেন কিভাবে?
advertisement
5/5
বর্ধমান থেকে আপনাকে বাস ধরতে হবে বড়শুলের। তারপর বড়শুল থেকে টোটো করলে মাত্র ১০ মিনিটেই আপনি পৌঁছে যাবেন দে বাড়িতে। আর কলকাতার দিক থেকে এলে আপনি নামতে পারেন শক্তিগড় স্টেশন। সেখান থেকেও টোটো ধরে আপনি যেতে পারেন দে বাড়িতে। সারাদিন সময় কাটিয়ে আপনি ফিরে যেতে পারেন বাড়ি। আর থাকতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে বড়শুল মোড় বা শক্তিগড়। সেখানেই জাতীয় সড়কের ধারে থাকার জন্য হোটেল পেয়ে যাবেন আপনি।( চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Bonedi Barir Pujo: পুজোয়ে ফিরতে চান শিকড়ের টানে, একবার ঘুরে যান 'এই' গ্রামের বনেদি বাড়িতে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল