Gardening Tips: শীত এলেই শুকিয়ে যায় সাধের ফুলগাছ! খুব সহজ ৩ উপায় মানলে বছরভর ফুলের ভারে ভেঙে পড়বে ডাল, জানুন ট্রিক

*শীতের আগমন বাগান প্রেমীদের, বিশেষ করে ফুল গাছের জন্য, উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। ঠান্ডা হাওয়া গাছের শিকড় এবং কুঁড়ি দুর্বল করে, যার ফলে পাতা ঝরে যায় এবং ফুল ঝরে পড়ে, তীব্র ঠান্ডায় শুকিয়ে যায়, যার ফলে তারা প্রতি বছর নতুন গাছ কিনতে বাধ্য হন অনেকেই। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং শীতকালে ফুলগাছ রক্ষা করার জন্য নার্সারির মালিক এবং বিখ্যাত মালী ধনঞ্জয় কুমারের কাছ থেকে বিশেষ টিপস দিয়েছেন। ধনঞ্জয় কুমার ব্যাখ্যা করেছিলেন, সামান্য কয়েকটি সহজ সতর্কতা অবলম্বন করলে শীতকাল জুড়ে  ফুলগাছগুলি সতেজ রাখা সম্ভব।

*মাটি প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণঃ ধনঞ্জয় কুমারের মতে, একটি বাগানের সাফল্য মাটি দিয়ে শুরু হয়। যদিও সমস্ত মাটি ভাল, তবে টবে (পাত্রে) জন্মানো ফুলের গাছের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। মাটির অনুপাত ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আপনি যদি ছ'টি পাত্রে সাধারণ মাটি ব্যবহার করেন, তাহলে দুটি পাত্রে বালি এবং দুটি পাত্রে জৈব সার, যেমন কম্পোস্ট বা ভার্মিকম্পোস্ট যোগ করা অপরিহার্য। এই মিশ্রণটি শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং ভাল নিষ্কাশনে সাহায্য করে, যার ফলে শিকড়ে ছত্রাকের ঝুঁকি কমে।

*পর্যাপ্ত সূর্যালোক জীবন রক্ষাকারীঃ ফুলগাছের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক অপরিহার্য। ধনঞ্জয় পরামর্শ দেন, শীতের হালকা সূর্যালোক গাছের বৃদ্ধি এবং ফুল ফোটার জন্য জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। গাছগুলি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে তারা পর্যাপ্ত আলো পেতে পারে। বারান্দা বা বারান্দার এমন একটি অংশ যেখানে সরাসরি এবং দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোক পাওয়া যায়, তা এই গাছগুলির জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে।

*সঠিক জল দেওয়ার কৌশল শিখুনঃ শীতকালে গাছগুলিকে জল দেওয়ার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর্দ্রতা দ্রুত বাষ্পীভূত হয় না, তাই দিনে মাত্র একবার গাছে জল দিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, জল দেওয়ার কৌশল, যা লোকেরা প্রায়শই ভুল করে।

*ধনঞ্জয় কুমার ব্যাখ্যা করেছিলেন, গাছগুলিকে সরাসরি শিকড়ের উপর ফোঁটা ফোঁটা করে জল দেওয়া উচিত নয়। এক ফুট লম্বা গাছের জন্য, ঝর্না ব্যবহার করে প্রায় তিন ফুট উচ্চতা থেকে জল দেওয়া উচিত। এটি গাছকে একটি প্রাকৃতিক অনুভূতি দেয়, পাতা পরিষ্কার করে এবং শিকড়কে খুব বেশি ভেজা হওয়া থেকে রক্ষা করে। অতিরিক্ত শিকড়ের আর্দ্রতা শীতকালে গাছের শুকিয়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ।