Curd Effect: এখুনি বন্ধ করুন 'এই ভাবে' দই খাওয়া...! ছেকে ধরবে মারাত্মক রোগ! বারোটা বাজবে শরীরের

দই স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। কিন্তু জানেন কী দই এর মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও অনেক মারাত্মক রোগ হতে পারে। জেনে নিন দই খাওয়ার ঠিক নিয়ম কোনটি আর ভুল নিয়মই বা কী।

দই আমাদের খাদ্য তালিকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিছু মানুষ খাবারকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করেন যদি না তার সঙ্গে দই থাকে।

বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে দই শুধুমাত্র উপকারই করে। কিন্তু ভুল সময়ে ও ভুল উপায়ে দই খেলে অনেক রোগ হতে পারে।

দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। দইয়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায়, কোনও শুভ কাজ করার আগে দই এবং চিনি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

কিন্তু এই দই খাওয়া নিয়েই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। কখন দই খাওয়া উপকারী আর কখন ক্ষতিকর? পড়ুন বিস্তারিত।

দইয়ের উপকারিতা কী? দইয়ে রয়েছে অনেক ভাল ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। দই খেলে পেটের সব রোগ সেরে যায়। দই খেলে বদহজম, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম হয়। দই হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে।

ম্যালেরিয়া হলেও প্রচুর পরিমাণে দই খাওয়া উচিত। এছাড়া শীতকালেও দই খাওয়া উচিত।

তবে মনে রাখবেন দই যেন ঠাণ্ডা না হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা দই আপনার সর্দি সারাতে পারে। এ ছাড়া পাইলসের রোগীদেরও প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়া উচিত।

কী ভাবে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে দই? কিন্তু দই খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসাবধানতা অবলম্বন করলেই দই উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।

দই কখনই গরম খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি দই খাওয়ার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

বিশেষত ক্ষির, দুধ, পনির, শসা এবং তরমুজ ও মাখন-সহ দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে।

মনে রাখবেন দই যদি ঠিকমতো না বসে, তাহলে তা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই ধরণের দই কফ বাড়ায় যা খুবই ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।

দই খাওয়ার সঠিক উপায়- আয়ুর্বেদ অনুসারে আমাদের রাতে দই খাওয়া উচিত নয়।

দইয়ে ঘি, মধু, আমলা গুঁড়ো, চিনি, লবণ বা মুগ ডাল জাতীয় কিছু যোগ করতে হবে।

দই কখনই আগুনে বা সূর্যের আলোতে গরম করা উচিত নয়।

বর্ষা, শরৎ ও শীত মরশুমে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।