Cholesterol High Blood Pressure Control Tips: প্রতিদিন এক গ্লাস জলই কমাতে পারে কোলেস্টেরল ও হাই ব্লাড প্রেশার! মেশাতে হবে শুধু সস্তার এই এক জিনিস...

উচ্চ কোলেস্টেরল ও হাই ব্লাড প্রেশার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনে। এই দুটি সমস্যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ বহু জটিল রোগের কারণ হতে পারে। তবে সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাসে আপেল সাইডার ভিনেগার (Apple Cider Vinegar বা ACV) যুক্ত করলে এই সমস্যাগুলোর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

উচ্চ কোলেস্টেরল বলতে রক্তে অতিরিক্ত চর্বির উপস্থিতিকে বোঝায়, যা হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। বিপদজনক বিষয় হল, এটি বেশিরভাগ সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই শরীরে বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে, হাই ব্লাড প্রেশার একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায় এবং অজান্তেই এটি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

আপেল সাইডার ভিনেগার (ACV) মূলত আপেলের চিনি ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এতে প্রধান উপাদান হিসেবে অ্যাসেটিক অ্যাসিড থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শুধুমাত্র রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্যই নয়, বরং এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ও অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ (উচ্চ রক্তচাপ কমানো) বৈশিষ্ট্য রাখে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল সাইডার ভিনেগার নিয়মিত সেবন করলে শরীরে ভাল HDL কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে, এটি খারাপ LDL কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমিয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি কেউ টানা ১২ সপ্তাহ প্রতিদিন আপেল সাইডার ভিনেগার সেবন করেন, তবে তার কোলেস্টেরলের মাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি বিশেষ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র ১ টেবিল চামচ বা তারও কম পরিমাণ আপেল সাইডার ভিনেগার ৮ সপ্তাহ ধরে গ্রহণ করলে রক্তের চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। শুধু ডায়াবেটিস রোগীরাই নন, সুস্থ মানুষের মধ্যেও এটি ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

এখন প্রশ্ন আসে, আপেল সাইডার ভিনেগার কি হাই ব্লাড প্রেশার কমাতেও সাহায্য করে? যদিও এ সংক্রান্ত গবেষণা এখনো সীমিত, তবে ২০২৩ সালে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা ৮ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ (৩০ মিলিলিটার) আপেল সাইডার ভিনেগার খেয়েছেন, তাদের রক্তচাপের মাত্রা কমেছে।

এছাড়া, একই গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ওজন কমতে দেখা গেছে এবং তাদের কোমরের মাপও কমেছে। অর্থাৎ, শুধু রক্তচাপ কমানো নয়, এটি ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, যাঁরা উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাই ব্লাড প্রেশার-এর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাসে আপেল সাইডার ভিনেগার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে এটি সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতির কারণও হতে পারে।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।