Child Disease: বিরল SMA1-এ রোগ আক্রান্ত শিশু, ভারতে নেই, বিদেশ থেকে আনতে হবে দামি ওষুধ, মরণ-বাঁচন লড়াই, বাবা-মায়ের অগ্নিপরীক্ষা

এস‌এম‌এ অর্থাৎ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাসট্রফি এর পাঁচটি পর্যায় রয়েছে। এস‌এম‌এ টাইপ ০, এস‌এম‌এ টাইপ ১, এস‌এম‌এ টাইপ ২, এস‌এম‌এ টাইপ ৩, এস‌এম‌এ টাইপ ৪। এই পর্যায়গুলির মধ্যে অন্যতম মারাত্মক হচ্ছে পর্যায়‌ হচ্ছে টাইপ ১।(ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

চিকিৎসকদের মতে, এই বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুরা সীমিত সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে। যারা এস‌এম‌এ টাইপ ১ এ আক্রান্ত হন তাঁদের বেঁচে থাকার মেয়াদ অধিকতম মাত্র ২ বছর থাকে এবং যারা এস‌এম‌এ টাইপ ২ আক্রান্ত তাদের বেঁচে থাকার মেয়াদ ২০ থেকে ২৫ বছর বয়স। তবে টাইপ ০ এর ক্ষেত্রে জন্মানোর আগেই গর্ভপাতে নষ্ট হয়ে যায় সদ্যজাত। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

টাইপ ১ রোগে আক্রান্তদের শিশুদের চেনার উপায় হচ্ছে। শরীরের গুরুতর পেশী দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, খাবার গিলতে সমস্যা, শিশুদের কম নড়াচড়া করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেই। তবে সময়মতো এর চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে শিশুদের। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস জানান, "এস‌এম‌এ নিউ বর্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষার পর এই সংক্রান্ত রোগ ধরা পড়ে। মূলত এই ধরনের পরীক্ষা বড় শহর কিংবা ভিন রাজ্যে নামিদামি হাসপাতালে করা হয়। এটি একটি বিরলতম রোগ যার সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা পরিষেবা ভারতবর্ষে নেই। বিদেশ থেকে মেডিসিন বা ইনজেকশন এনে এই চিকিৎসা করা হয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। ফলে আর্থিক সমস্যার কারণে অনেকে এই চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাই এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা সীমিত বয়স সময়সীমা অব্দি বেঁচে থাকেন।" (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

এমনই এক রোগে আক্রান্ত মালদহের রতুয়া থানার সামসি এলাকার শিশু আংশিকা মণ্ডল, বয়স মাত্র ৯ মাস। শিশুর পরিবারের দাবি, জন্মের এক মাসের পর তাঁদের শিশুর এসএমএ টাইপ ১ নামক মারাত্মক একটি রোগ ধরা পড়ে। যার চিকিৎসা কেবলমাত্র সম্ভব বিদেশে। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৯ কোটি টাকার ইনজেকশন। তাই শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রশাসন থেকে জনসাধারণের দরবারে আর্থিক সহায়তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবা-মা। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)