Chikungunya Virus: মিলে গেল WHO-এর ভবিষ্যদ্বাণী! ৭৩ বছর পর ফিরল মারণ ভাইরাস! চিনে আক্রান্ত ৭০০০, বর্ষায় ছড়াতে পারে ভারতেও...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Chikungunya Virus: চিকনগুনিয়া ভাইরাস আবার ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। চিনে ৭০০০-র বেশি আক্রান্তের খবরে উদ্বেগ বেড়েছে। WHO সতর্ক করছে যে এই ভাইরাস ফের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কীভাবে বাঁচবেন এই ভয়ংকর ভাইরাস থেকে, জেনে নিন বিস্তারিত...
advertisement
1/8

প্রায় ২০ বছর আগে যে ভাইরাসটি সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই ভাইরাস আবার ফিরে এসেছে। এই ভাইরাসের নাম চিকনগুনিয়া। গত কয়েক মাস ধরে এটি লা রিউনিয়ন, মায়োট এবং মরিশাস দ্বীপপুঞ্জ থেকে ছড়িয়ে ম্যাডাগাস্কার, সোমালিয়া ও কেনিয়ার মতো আফ্রিকান দেশগুলোতে পৌঁছেছে। এখন চিনেও এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চিনের গুয়াংডং প্রদেশে মশাবাহিত চিকনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০০ ছাড়িয়েছে।
advertisement
2/8
এই ভাইরাস যাতে মহামারিতে রূপ না নেয়, সেজন্য চিনে বিশাল আকারের মশা ছাড়া হচ্ছে, যেগুলি চিকনগুনিয়া ছড়ানো ছোট মশাদের ধ্বংস করতে পারবে। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে ঘরে জমে থাকা সমস্ত জল ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে ১ লক্ষ টাকার বেশি জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
advertisement
3/8
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) গত মাসেই সতর্কতা জারি করেছিল যে, চিকনগুনিয়া আবার এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত মহামারির আকার নিতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের ১১৯টি দেশে প্রায় ৫৬০ কোটি মানুষ এই ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। ভারতে প্রতিবছরই এই রোগ দেখা দেয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে, যখন মশা দ্রুত বাড়ে এবং ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
advertisement
4/8
২০০৫ সালে চিকনগুনিয়া প্রথম মহামারিতে রূপ নেয় এবং তা ভারতের মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ছড়িয়ে ৫ লক্ষের বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিরল ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘমেয়াদি জয়েন্টের সমস্যা বা অক্ষমতার কারণ হতে পারে।
advertisement
5/8
নতুন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. সোনিয়া রাওয়াত জানিয়েছেন, চিকনগুনিয়া একটি ভাইরাল জ্বর, যা এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিক্টাস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশারা দিনে বেশি সক্রিয় থাকে। এই ভাইরাস প্রথম ১৯৫২ সালে তানজানিয়াতে শনাক্ত হয়েছিল এবং এটি মারাত্মক জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে।
advertisement
6/8
ডাক্তারের মতে, মশার কামড়ের ৪ থেকে ৮ দিন পর চিকনগুনিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। প্রধান লক্ষণগুলি হল – তীব্র জ্বর, হাত-পা, হাঁটু ও কবজিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, চুলকানি ও র‍্যাশ, ক্লান্তি, চোখে জ্বালা এবং বমি ভাব। জয়েন্টের ব্যথা সপ্তাহ বা মাস ধরে স্থায়ী হতে পারে।
advertisement
7/8
চিকনগুনিয়ার কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। সাধারণত জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, ব্যথা কমানোর জন্য পেনকিলার দেওয়া হয়। রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও জলপান করতে বলা হয়। জয়েন্টের ব্যথার জন্য হালকা ফিজিওথেরাপি উপকারী হতে পারে।
advertisement
8/8
ডা. রাওয়াত জানিয়েছেন, চিকনগুনিয়ার কোনও টিকা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি দেশে এটির উপর গবেষণা ও ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। যতদিন না ভ্যাকসিন আসে, ততদিন প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো উপায়। তাই মশার হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরোদমে ব্যবস্থা নিতে হবে – যেমন, জমা জল না রাখা, ফ্যান ও জাল ব্যবহার করা, ফুলহাতা জামা পরা এবং মশা তাড়ানোর স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করা। বিশেষ করে বর্ষার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Chikungunya Virus: মিলে গেল WHO-এর ভবিষ্যদ্বাণী! ৭৩ বছর পর ফিরল মারণ ভাইরাস! চিনে আক্রান্ত ৭০০০, বর্ষায় ছড়াতে পারে ভারতেও...